শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসের আলোচনা সভা জনসম্পৃক্ততার জন্যই শত ষড়যন্ত্রের পরও আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়নি
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ১৩ জুন ২০১৯, ০০:০০
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জনগণের মাঝে নিবিড় সম্পৃক্ততা ছিল বলেই শত ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে কোনো অপশক্তি রুখতে পারেনি। তাই জনগণ আমাদের রাজনৈতিক শক্তির একমাত্র উৎস। এ জন্য ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি গত মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১১তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেটে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিগত এক-এগারোর সময়, শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার নীলনকশা হয়েছিল। এ জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাসাদ চক্রান্ত এবং দলকে ভাঙার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি। জনগণই তখন শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে এবং ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল গণরায়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী করে ক্ষমতায় বসিয়েছে। এরপর ধারাবাহিকভাবে পরপর তিন দফায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে বিশ্বসভায় শেখ হাসিনা দেশকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। এসব অর্জনের বার্তা জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে পারলে আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় আসবে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সব জাতীয় দিবস ও দলীয় কর্মসূচিগুলো লাগাতারভাবে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে পালিত হলে দলীয় গণভিত্তি সুদৃঢ় হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সংগঠনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা দল ও দেশের সম্পদ। তবে সবাইকে হয়তো একসাথে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। তার পরও তাদের সবার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণœ থাকবে। দলীয় ঐক্য রক্ষায় তারাও সহযাত্রী।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নঈম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, মাহবুবুল হক মিয়া, এম এ জাফর, হারুনুর রশীদ, গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমদ। উপস্থিত ছিলেন শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, আবদুল আহাদ, মোহাম্মদ শহীদুল আলম, আবুল মনসুর, গাজী শফিউল আজিম, নুরুল আবছার মিয়া, সৈয়দ আমিনুল হক, মোহাব্বত আলী খান, বখতেখার উদ্দিন খান, আবদুল লতিফ টিপু, ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ, বেলাল আহমেদ, ছিদ্দিক আলম, কাজী আলতাফ হোসেন, আবু তাহের, মো: ইছহাক, মোহাম্মদ ইলিয়াস, রেজাউল করিম কায়সার, শামসুল আলম, আবদুল মান্নান, ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, হোসেন মুরাদ, জয়নাল আবেদীন আজাদ, শেখ সোহরাওয়ার্দী, আবু তৈয়ব ছিদ্দিকী, ফয়েজুন্নাহ বাহাদুর, সেলিম রেজা, মোহাম্মদ মুছা, গোলাম মো: জোবায়ের, নুরুন্নবী চৌধুরী লিটন।