শায়েস্তাগঞ্জে জরাজীর্ণ সেতু, ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল
- মো: আব্দুর রকিব, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ)
- ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২৫
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাধীন নুরপুর ইউনিয়নের সুতাং বাজারে যাতায়াতের সুতাং সড়ক সেতুটি কয়েক বছর ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় লোকজন চলাচল করছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই সড়ক সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই হাজারো মানুষ ও অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। প্রতিদিনই যাত্রী নিয়ে লেগুনা, মাইক্রোবাস, সিএনজি, টমটম জাতীয় গণপরিবহনগুলো চলছে এ সেতু দিয়ে। কখনো কখনো পণ্যবাহী ভারি যানবাহনও চলে এ নড়বড়ে সেতু দিয়ে। এ জনদুর্ভোগের বিষয়টি উল্লেখ করে একাধিকবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবুও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই এ ব্যাপারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যবহারের অনুপযোগী এই সেতুটিতে কোনো গাড়ি উঠলেই কাঁপতে থাকে। এ সেতুর দেবে যাওয়া পূর্বাংশ বালুর বস্তা ফেলে ভরাট করে কোনরকমে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। সেতুটির অবকাঠামো ছাড়াও স্থানে স্থানে রেলিং ভাঙা, মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্ত। যেকোন সময় সেতুটি ভেঙে নদীতে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতিদিনই আশপাশের ১৫-২০ গ্রামের লোকজন ও স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রীসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং শত শত যানবাহন চলাচল করছে এ সেতু দিয়ে।
জানা যায়, বিশ্বময় করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে এ সেতুটি ভেঙে পুনঃনির্মাণ করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর। এরপর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার পুরাতন সেতুটির পাশেই একটি বিকল্প সড়কসেতু নির্মাণ করে। গত এপ্রিল মাসে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট শক্তিশালী পানির স্রোত বিকল্প সড়ক সেতুটি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এর পর থেকে এখনো এটি আর মেরামত করা হয়নি।
এ ব্যাপারে সুতাং বাজারের ব্যবসায়ী এম এ মামুন আহমেদ জানান, তারা প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে চলাচল করেন। ব্রিজের উপর যখন যাত্রীবাহী গাড়ি ওঠে, তখন সেটি কেঁপে ওঠে। এর সাথে যাত্রীদের হৃদকম্পনও বেড়ে যায়। অনেক সময় ভয়ে যাত্রীরা গাড়িতে উঠতে চান না।
সুরাবই গ্রামের সমাজকর্মী গোলাম সারোয়ার বাবলু জানান, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে দেখেছিলাম সেতুতে লোকজন কাজ করেছে। খোঁজ নিলে জানা যায়, এটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে।
এ ব্যাপারে নুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: মুখলিছ মিয়া বলেন, বিষয়টি এলজিইডির অধীনে রয়েছে। সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় অধিদফেতরের উপসহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দাশ বলেন, সুতাং নদীর উপর সেতুর টেন্ডার ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। করোনা ও বর্ষার কারণে ঠিকাদার কাজ শুরু করতে পারেনি। খুব শীঘ্রই এই সেতুর কাজ শুরু করা হবে। মানুষকে সচেতন করার জন্য সেতুর উভয় পাশে ঝুঁকির্পুণ সেতু উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লাগানো হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা