গণভবনে ‘হরর মিউজিয়াম’ হবে
গুমের ভয়াবহতা জনসম্মুখে তুলে ধরার জন্য গুম কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে একটি ‘হরর মিউজিয়াম’ গড়ে তোলা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। প্রতিবেদন জমার পর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইট ও বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে।’ তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের ‘ভদ্রলোকেরা’ আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফিট বাই তিন ফিট খুপরির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত’ বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাত-পায়ের নখ উপড়ে অন্ধকার কক্ষে আটকে রাখার নির্মম কাহিনী
আরেকটু কাছে গিয়ে কাঁদো কাঁদো অবস্থায় জিজ্ঞেস করলেন, তোর নখগুলো কই গেল? হাত দেখা তো, পা দেখা। তোর দুই পায়ের নখ নাই। হাতের বৃদ্ধাঙুলে দুইটা নখও নাই। আগেতো এমন আছিল না।
জরাজীর্ণ, ভঙ্গুর কুঠরিতে ছিলেন আরমান
প্রতিটি আটক সুবিধার নিজস্ব অপারেশনাল স্বাক্ষর ছিল একটি স্বতন্ত্র প্যাটার্ন। এর মধ্যে ছিল সেখানকার রক্ষীদের আচরণ, বাথরুমের সময়সূচি, পরিবেশিত খাবারের ধরন, পরিবেশের শব্দ এবং অন্যান্য সংবেদনশীল ইঙ্গিত।
সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা প্রতিরোধের নামে দমন করা হতো ভিন্নমতকে
গুম কমিশনের দ্বিতীয় প্রতিবেদনের শুরুতেই এই জবানবন্দীটি তুলে ধরা হয়। পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি ওই যুবককে গুম করে ২০১৭ সালে র্যাব এভাবেই তার স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যাতন চালায়।
অতীতের ভুল বাতিল করে বিচার ত্বরান্বিত করার সুপারিশ
বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সামনে এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হলো কিভাবে হাজার হাজার বানোয়াট সন্ত্রাসবিরোধী মামলার সমাধান করা যায় যা জোরপূর্বক অন্তর্ধানের শিকারদের আটকে রেখেছে।
কেন গার্লফ্রেন্ড নেই, মুখে কেন দাড়ি?
“তারপরই তাকে চিৎ করে শুইয়ে দুই হাতের মধ্যে আর দুই পায়ের মধ্যে বাঁশ দিয়ে এর উপরে চারজন উঠে বসে। এরপর মুখের উপরে একটা কাপড় দিয়ে উপর থেকে পানি ঢালতে থাকে। তখন তার মনে হচ্ছিল যেকোনো সেকেন্ডের মধ্যে মারা যাবে।”
বাংলাদেশে গুম-খুনের সাথে সম্পৃক্ততা ভারতীয়দের
“টাকার অভাবে শুধু পানি পান করতাম। সেখানে ৪ দিন বাসস্ট্যান্ডে থাকার পর লোকজন আমাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।”










