২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিঠাপুকুরে ‘আলোকফাঁদ’ ব্যবহারে উৎসাহিত হচ্ছে কৃষকরা

মিঠাপুকুরে ‘আলোকফাঁদ’ ব্যবহারে উৎসাহিত হচ্ছে কৃষকরা - প্রতীকী

রংপুরের মিঠাপুকুরে আলোয় আকৃষ্ট করে আমন ধানের ক্ষতিকর পোকামাকড় দমন করা হচ্ছে। কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে এই আলোকফাঁদ ব্যবহারে কৃষককে উৎসাহিত করার চেষ্টা চলছে। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ৫১টি ব্লকে একযোগে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন রংপুরের কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত পরিচালক (শস্য) মো. মাসুদুর রহমানসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের তকেয়া কেশবপুর গ্রামে আবদুর রহমান এবং লতিবপুর ইউনিয়নের বাতাসন দুর্গাপুর গ্রামে মো. সাইফুল ইসলামের জমিতে আলোকফাঁদ পরিদর্শন ও কৃষকদের সাথে মত বিনিময় করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো. এনামুল হক, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. লোকমান হেকিম, উপসহকারী কৃষি অফিসার পরিমল চন্দ্র সরকার ও মো. আসলাম মিয়াসহ কৃষক-কৃষাণীগন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান আমন খেতে বৈদ্যুতিক বাল্ব টানিয়ে নিচে ডিটারজেন্ট বা কেরোসিন মিশ্রিত পানির পাত্র রাখা হয়। বাল্বের আলোতে আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় পাত্রের কাছে আসে এবং পাত্রের পানির মধ্যে পড়ে গিয়ে পোকা মারা যায়। পরিবেশ দুষণ রোধ কৃষকের অতিরিক্ত ব্যয় কমানোসহ কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে ‘আলোকফাঁদ’ দিয়ে পোকা মাকড় দমন একটি উন্নত পদ্ধতি।
এই পদ্ধতিতে পোকামাকড় দমনের ফলে আমনের উৎপাদন অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। উপজেলার ৫১টি ব্লকেই ‘আলোক ফাঁদ’ ব্যবহারের মাধ্যমে পোকামাকড় দমনে কৃষককে উৎপাহিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement