পাবনায় প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
- পাবনা থেকে সংবাদদাতা
- ২৫ জুন ২০২১, ১০:২২
পাবনার ঈশ্বরদীতে এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মানিক সরদারের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ভিক্ষুকের নাম চাপা হোসেন (৩২)। তার বাবার নাম জানা না গেলেও তার বাড়ি পাবনার চাটমোহরে।
এ ঘটনায় ছামেলা খাতুন (৪০) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। ছামেলা খাতুন মানিক সরদারের পুত্রবধূ ও জাহিদুল সরদারের স্ত্রী।
নিহত চাপা হোসেন ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করতেন। আটক ছামেলা খাতুনের বাবার বাড়িও চাটমোহরে।
এলাকাবাসী জানায়, চাপা নামে ওই প্রতিবন্ধী যুবক ভ্যানে করে ঈশ্বরদীতে ভিক্ষা করতেন। এলাকায় পরিচিত হিসেবে চাপা প্রায়ই সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের ছামেলা খাতুনের শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত করতেন। তার সাথে নিরঞ্জন (৩২) নামে এলাকার আরো এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, হয়তো টাকা-পয়সার কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় চাপাকে পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গভীর রাতে লাশটি গুম করার চেষ্টা করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় কুলি ছাইদার হোসেন সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার রহিদুল্লাহকে সাথে নিয়ে মানিক সরদারের বাড়িতে যান। এ সময় তাদের বাড়ির ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। পরে তারা বিষয়টি ঈশ্বরদী থানা পুলিশকে জানায়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় অসংলগ্ন কথাবর্তা বলায় ছামেলা খাতুনকে আটক করে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। লাশের শরীরে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আটক ছামেলা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা