২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

অভিজ্ঞতার সম্পদ প্রবীণ নাগরিক

-

উন্নত দেশগুলো প্রবীণদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়। বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্রবীণসেবার পরিধি খুবই সীমিত। বেসরকারি প্রবীণ নিবাসগুলোর বেশির ভাগই শোচনীয় অবস্থায়। বৈশ্বিক মহামারী দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রবীণদের জন্য প্রতিরোধমূলক ও পুনর্বাসনমূলক স্বাস্থ্যসেবা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারীর সময় তাদের যথাযথ সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদান করা রাষ্ট্রীয় কর্তব্য। কিন্তু আমাদের সমাজের মানসিকতা বদলায়নি। প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক পারস্পরিক নির্ভরতার জন্য সবার আগে দৃষ্টিভঙ্গি ও মন-মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। নবীণরা প্রবীণদের কাছ থেকে উত্তম ও গঠনমূলক কাজের দীক্ষা লাভ করে। অভিজ্ঞতা অমূল্য সম্পদ। প্রবীণের অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সফল ও সমৃদ্ধ করা সম্ভব। প্রবীণের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা সমাজকে উজ্জীবিত করতে পারে।

বার্ধক্য নিয়ে ১৯৩৮ সালে রাশিয়ায় প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ইংরেজরা প্রবীণ ক্লাব গঠন করে প্রবীণদের উপযোগী কার্যক্রম পরিচালনা করে। জার্মানিতে প্রবীণদের জন্য বেশ কিছু পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হয়। জাতিসঙ্ঘ বার্ধক্য মোকাবেলায় অনেক আগে থেকেই রাষ্ট্রগুলোকে সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ১৯৬৫ ও ১৯৭৮ সালে জাতিসঙ্ঘের কিছু আলোচনায় বার্ধক্য ও প্রবীণ জনগোষ্ঠীর বিষয়টি উদ্বেগের সাথে তুলে ধরা হয়। ১৯৮২ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথমবারের মতো বিশ্ব প্রবীণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনেই প্রণয়ন করা হয় ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন অন এজিং। ১৪টি মূলনীতির আলোকে প্রবীণদের কল্যাণ বিধানের লক্ষ্যে ৬২টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। প্রবীণদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, প্রবীণ ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ, আবাসন ও পরিবেশ, পরিবার, সমাজকল্যাণ, আয় ও কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় এসব সুপারিশে স্থান পেয়েছিল। ১৯৯১ সালে জাতিসঙ্ঘ প্রবীণদের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে। ১৯৯৪ সালে উন্নয়নে প্রবীণদের সম্পৃক্তকরণের পদক্ষেপ নেয়। ১৯৯৯ সালকে আন্তর্জাতিক প্রবীণ বর্ষ হিসেবে ঘোষণা এবং সব বয়সীদের জন্য সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়। যার মূল স্লোগান ছিল বিশ্ব সমাজ হোক সব প্রজন্মের। ২০০২ সালে স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বিশ্ব প্রবীণ সম্মেলন। ভিয়েনা কর্মমুখী পরিকল্পনা সক্রিয় ও গতিশীল করার উদ্দেশ্যে এ সম্মেলনে গৃহীত হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি অব অ্যাকশন অন এজিং। জাতিসঙ্ঘ সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ২৫ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছে যে, প্রত্যেক মানুষেরই তার পরিবার-পরিজনসহ স্বাস্থ্য ও কল্যাণের নিমিত্তে জীবনমানের অধিকার রয়েছে। যেমন- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সেবা কর্মসূচির সুযোগ এবং বেকারত্ব, অসুস্থতা, প্রতিবন্ধকতা, বৈষম্য, বার্ধক্য অথবা অনিবার্য কারণে জীবন ধারণে অন্যান্য অক্ষমতার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পাওয়া।

বাংলাদেশে প্রবীণদের দারিদ্র্যমুক্ত, মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ সামাজিক জীবন নিশ্চিতকল্পে ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা, ২০১৩’ এবং ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন ২০১৩’ প্রণীত হলেও তাদের বাস্তব অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস জাতীয় রোগে ইউরোপ ও জাপানে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রায় ৯৫ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি, ৫০ শতাংশের বয়স ৮০ বছর বা তার বেশি। বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুসংক্রান্ত সঠিক পরিসংখ্যান সংরক্ষিত না থাকলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবীণ ব্যক্তি মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব মো: আবদুল করিম তার এক নিবন্ধে সম্প্রতি উল্লেখ করেছেন, করোনা প্রতিরোধে ছুটি, লকডাউন ঘোষণা, ত্বরিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বয়, সিদ্ধান্তহীনতা, প্রশাসনিক অদক্ষতা ও দুর্নীতি প্রকটভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য খাতের বাজেট বরাদ্দ এ বছর যুক্তিসঙ্গতভাবে বাড়ানো হয়েছে, যা দ্রুত ব্যয় করা প্রয়োজন। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রবীণদের জন্য সমন্বিত পেনশন পদ্ধতি চালুর বিষয়টি বিবেচিত হয়েছে, যার আওতায় রয়েছে ষাট বছর বা তদূর্ধ্বে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বয়স্ক ভাতার প্রচলন, জাতীয় সামাজিক বীমা কর্মসূচি চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই, ‘বেসরকারি ভলান্টারি পেনশন’ ব্যবস্থা চালুর বিষয় রিভিউ করা ইত্যাদি। বয়স্ক ও বিধবা ভাতা কর্মসূচিতে অনেক প্রবীণ এরই মধ্যে কিছুটা আর্থিক স্বস্তি পাচ্ছেন। এখানে দেশের বিরাট আকারের প্রবীণদের বাস্তব কল্যাণ বিধানে সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

আজ বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন প্রবীণরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, করোনায় মোট মৃতদের মধ্যে ৫১ শতাংশই প্রবীণ অর্থাৎ ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ। তবে রোগতত্ত্ব ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবীণরা শুধু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় মারা যাচ্ছেন, এমন নয়। তারা আগে থেকেই বার্ধক্যজনিতসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে (ক্যান্সার, কিডনি সমস্যা, লিভার, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি) আক্রান্ত থাকায় তাদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে। অন্য দিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে পারিবারিক বন্ধন, আর্থসামাজিক বন্ধন এবং প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের কারণে এ দেশে প্রবীণরা ভালো আছেন। কাউকে ফেলে রেখে নয়, বরং সবাইকে নিয়ে বিশ্বসমাজের প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রা চলমান রাখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে অন্যদের সাথে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ১ অক্টোবর দেশব্যাপী বিশ্ব প্রবীণ দিবস পালিত হয়। প্রবীণ ব্যক্তিরা যাতে সম্মান, মর্যাদা ও তাদের অধিকার নিয়ে পরিবার-সমাজে বসবাস করতে পারেন, সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এ দিবস পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘Pandemics : Do They change How We Address Age and Ageing?’ বাংলায় ‘বৈশ্বিক মহামারীর বার্তা, প্রবীণদের সেবায় নতুন মাত্রা।’ চলমান মহামারীতে প্রবীণ জনগোষ্ঠী তুলনামূলকভাবে বেশি হারে আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ বছরের নির্ধারিত স্লোগান অর্থবহ ও যথার্থ। আমরা লক্ষ করছি, বিশ্বব্যাপী প্রবীণ জনসংখ্যা দ্রুতহারে বাড়ছে। পরিসংখ্যান মতে, ১৯৯৫ সালের ৫৪ কোটি প্রবীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫ সালে ১২০ কোটি এবং ২০৫০ সালে প্রায় ২০০ কোটিতে দাঁড়াবে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রবীণ জনসংখ্যা প্রায় ১.৫ কোটি, যা ২০২৫ সালে হবে দুই কোটি এবং ২০৫০ সালে প্রায় ৪.৫ কোটি। এর মধ্যে উদ্বেগজনক হচ্ছে, এই বর্ধিত প্রবীণ জনসংখ্যার মধ্যে অতি প্রবীণদের (৮০+) সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে, যার সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী। ২০২০ থেকে ২০৩০ সালকে ‘ডিকেড অব হেলদি এজ’ হিসেবে পালন করা হবে বাংলাদেশেও। দশকটিতে প্রবীণ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে তাদের জন্য খাদ্যনিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য যেমন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি অগ্রাধিকার হিসেবে সুলভে বা বিনা ব্যয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিও নিশ্চিত করতে হবে।

পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন প্রবীণ রয়েছে, যাদের বয়স ৬০ কিংবা তার ঊর্ধ্বে। এমনকি ধারণা করা হচ্ছে যে, ২০৩০ সালে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১.৪ বিলিয়ন এবং ২০৫০ সালে হবে দুই বিলিয়ন, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ। গবেষণা আরো বলছে, প্রবীণদের সংখ্যা উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে বাড়ছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় প্রবীণনীতি বাস্তবায়ন হয়েছে অনেক আগেই। শ্রীলঙ্কা এ ব্যাপারে অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশের উচিত ২০১৩ সালের প্রবীণ নীতিটি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা। ঢাকায় প্রবীণ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রতিটি জেলা-উপজেলা হাসপাতালে সার্বক্ষণিক আলাদা ওয়ার্ড বা বেড নিশ্চিত করতে হবে। তাদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কর্মে নিয়োগ দিতে হবে। সক্ষম প্রবীণদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কোনো অংশে কম নয়, এতে দেশ উপকৃত হবে। প্রবীণদের অবসর বিনোদনের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি রাষ্ট্রের দায়িত্ব আর এসব কাজে প্রবীণদের সম্পৃক্ত করেই সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৯ বছর। দেশের ৬০ বছর ও তার বেশি বয়সীদের ‘জ্যেষ্ঠ নাগরিক’ বা ‘সিনিয়র সিটিজেন’ ঘোষণা করে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে বাংলাদেশ। আমাদের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রবীণদের অবদান অসীম। বিগত ১৪ জুলাই ২০১৮ রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি, অবৈতনিক, অরাজনৈতিক, অলাভজনক, অসাম্প্রদায়িক স্বেচ্ছাসেবী প্রবীণ নাগরিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম’ (Bangladesh Senior Citizen Forum-BSCF) নামে একটি ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। একুশ শতকের প্রবীণদের জীবনযাপনে সহায়তা ও বিশ্ব সিনিয়র সিটিজেন সম্প্রদায় গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠনটি দক্ষতার সাথে কাজ করছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশে আজ পর্যন্ত প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হয়নি। জানা গেছে, প্রবীণ নীতিমালার আলোকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে সরকার।

নবীণ-প্রবীণের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ভক্তি বিনিময়ের মাধ্যমে পৃথিবীতে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়, যেখানে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের স্ব স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, দেশের সমাজব্যবস্থা একা পরিবর্তন করা যায় না, এগিয়ে আসতে হবে প্রবীণ জনসাধারণকেও। অভিজ্ঞতার আলোকে কাক্সিক্ষত পরিবর্তনের জন্য দরকার সামাজিক আন্দোলন। প্রবীণদের অসহায়ত্ব দূর করতে সামাজিক, পারিবারিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে আমাদের আরো অনেক কিছু করতে হবে, যেতে হবে অনেক দূর। প্রবীণদের অবজ্ঞা নয়, তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম সই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

বর্তমান সমাজব্যবস্থা প্রবীণদের নিঃসঙ্গতায় ফেলে দিয়েছে। প্রবীণদের ঝামেলা মনে করে বৃদ্ধাশ্রমের নিঃসঙ্গ জীবনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনায় বৃদ্ধাশ্রম গড়ে ওঠার প্রবণতা বেড়েই চলছে। এতে দেশের হাজার বছরের পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ, স্নেহ-প্রীতি, মায়া-মমতার বন্ধন ধ্বংস ও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এই আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে সমাজকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। সমাজে আন্তঃপ্রজন্ম যোগাযোগের চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। আন্তঃপ্রজন্ম যোগাযোগ বাড়লে নবীণ-প্রবীণের সেতু বন্ধন সৃষ্টি হবে, মানবিকতাবোধ জাগ্রত হবে। ফলে সামাজিক ভারসাম্য বজায় থাকবে।

আশার কথা, সরকার গত অক্টোবর মাসে ‘পিতামাতার ভরণপোষণ আইন ২০১৩’র খসড়া বিধিমালা চূড়ান্তকরণের উদ্যোগ নেয়। এ শুভ উদ্যোগকে স্বাগত। প্রবীণরা যেন ন্যায্য প্রাপ্য ও অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেন- এটাই নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা।

লেখক : সাবেক পরিচালক (জনসংযোগ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।


আরো সংবাদ



premium cement
নিরাপত্তা-বিষয়ক আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়ায় রুশ গোয়েন্দা প্রধান বদলে যেতে পারে এসএসসি পরীক্ষার নাম সীমান্তে বাংলাদেশীদের মৃত্যু কমেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনে উদ্বেগ টিআইবির যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাবো : মেসি ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের আটকের পর নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ইউপি চেয়ারম্যানকে বদর যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল