২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে উদ্বেগ

চমেক থেকে টিকা না পেয়ে ফেরত গেলেন সহস্রাধিক ব্যক্তি

-

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে করোনার টিকার মজুদ তলানিতে এসে ঠেকেছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকার পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় যা আছে তা দিয়ে গো স্লো (ধীরো চলো) নীতির মাধ্যমে কোনো রকমে ঈদের আগ পর্যন্ত চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মজুদ শেষ হয়ে আসায় ইতোমধ্যে প্রথম ডোজ গ্রহণকারী এক-তৃতীয়াংশের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামে এখনো ৪০ হাজার ডোজ টিকা মজুদ থাকার কথা বলা হলেও গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসের টিকাদান কেন্দ্র থেকে সহস্রাধিক মানুষকে টিকা না নিয়েই ফেরত যেতে হয়েছে। তাদের আগামী ১০ তারিখের পর যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সকালে চমেক ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় ডোজের টিকাপ্রত্যাশী মানুষের দু’টি দীর্ঘ সারি। মানুষের সারি বাড়তে বাড়তে মূল সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু লাইন আগাচ্ছে না। পরে লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সকাল পৌনে ১১টার দিকে ভেতর থেকে বলা হয়েছে টিকা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু কেউই লাইন ছাড়ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত পুলিশ দিয়ে টিকাপ্রত্যাশীদের তাড়িয়ে দেয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চমেক ক্যাম্পাসে গতকাল শ’দুয়েক মানুষকে দেয়ার পরই টিকার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা আসে। বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদক টিকা বুথে গিয়ে জানতে চাইলে মাত্র ২০ জনের টিকার ডোজ থাকার কথা জানায় তারা। এরই মধ্যে অবশ্য টিকাপ্রত্যাশীদের সাথে নিরাপত্তাকর্মীদের বাগি¦তণ্ডা শুরু হয়ে যায়।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণকারীর সংখ্যা সাড়ে ৪ লাখের বেশি। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন প্রায় পৌনে ৩ লাখ ব্যক্তি। সে হিসাবে এখনো প্রায় পৌনে ২ লাখ ব্যক্তির দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের বাকি। সূত্র মতে, চট্টগ্রামে বর্তমানে ভ্যাকসিনের মজুদ রয়েছে ৪ হাজার ভায়ালের মতো, যা দিয়ে ৪০ হাজার ব্যক্তিকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে। ফলে আরো প্রায় সোয়া লাখের বেশি ব্যক্তির দ্বিতীয় ডোজ প্রদান নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি গতকাল দুপুরে নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের কাছে ৪০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন মজুদ আছে। এ পর্যন্ত যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশের জন্য আমরা ভ্যাকসিন পেয়েছি। বাকি ৩০ শতাংশের জন্য এখনো পাইনি। যতক্ষণ ভ্যাকসিন থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাব।
গতকাল চমেক ক্যাম্পাস থেকে সহস্রাধিক মানুষ ফেরত যাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ভ্যাকসিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। যারা এসএমএস পাবেন, তারাই শুধু ঈদের আগে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারবেন। ম্যাসেজ না পেলে ঈদের পরে টিকা এলে তখন দেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement