ভারত বাংলাদেশকে একটি বাজার বানিয়েছে : সুলতানা কামাল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, ভারত আমাদের পাশে না থাকলে স্বাধীনতা যুদ্ধ যেভাবে শেষ হয়েছে সেভাবে শেষ করা সম্ভব হতো না। কিন্তু কথা হলো, সেটার পরিবর্তে আজকে বাংলাদেশকে একটা বাজারের জায়গা বানিয়েছে তারা। ভারত বাংলাদেশে এসে ব্যবসা করে সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যাবে আর বাংলাদেশের ওপর দূষণ ও দুর্ভোগগুলো চাপিয়ে দিয়ে যাবে এটা মেনে নেয়া যায় না।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলানায়তনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ইউনেস্কোর ৪৩তম সভার সুপারিশ বাস্তবায়ন, সুন্দরবনের পাশে রামপালসহ সব শিল্পনির্মাণ প্রক্রিয়া বন্ধ এবং সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা সম্পন্ন করার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেনÑ সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: আব্দুল মতিন, কমিটির সদস্য রুহীন হোসেন প্রিন্স ও শরীফ জামিল প্রমুখ।
সুলতানা কামাল বলেন, স্বাধীনতার আগে সব সুযোগ-সুবিধা যেত পশ্চিম পাকিস্তানে আর শোষণ হতো পূর্ব পাকিস্তান, যত ক্ষতিকর প্রকল্প হতো পূর্ব পাকিস্তানে। তেমনিভাবে বাংলাদেশে যত ক্ষতিকর প্রকল্প হচ্ছে তা করছে ভারত। সেটা করতে যে পণ্য ব্যবহৃত হবে তাও হতে হবে ভারতীয়। এমনকি সব সুযোগ-সুবিধাও নিয়ে যাবে ভারত। এই জায়গায় মনে হয় চিন্তা-ভাবনার সময় এসেছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রামপাল প্রকল্প নির্মাতা ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি তাদের নিজ দেশে সব কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থগিত করেছে। এনটিপিসি আগামী পাঁচ বছর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে না। কারণ তারা কার্বন তৈরির দায় কমাতে চায়। বরং এনটিপিসি গুজরাটে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সৌর শক্তি পার্ক তৈরি করতে ২৫ হাজার কোটি রুপি খরচ করছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠান প্রবল গণ-আপত্তির মুখেও বাংলাদেশে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে পিছপা হচ্ছে না। এটা তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ডাবল স্ট্যান্ডার্ড (দ্বৈতনীতি) আচরণ। এর মধ্যে অসততা রয়েছে। তিনি সরকারকে ভুল অবস্থান থেকে সরে এসে রামপাল প্রকল্প বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বনবিরোধী সব স্থাপনা উৎখাত করে প্রাকৃতিক চরিত্রকে সংরক্ষণ করে বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ায় কয়লার বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হোক।
ডা: মো: আব্দুল মতিন বলেন, আগামী ৪৪তম সভায় ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের কাজে সন্তষ্ট না হলে সামনের বছরই আবার ‘সুন্দরবন বিপদাপন্ন ঐতিহ্য’ তালিকায় চলে যেতে পারে; যা হবে আমাদের এই বন, জনগণ ও দেশের জন্য অপমানজনক একটি বিষয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা