নাগরিক সমাজের অভিযোগ জলবায়ু পরিবর্তনে ধনী দেশ দায়ী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
জলবায়ু পরিবর্তনে মূলত ধনী দেশ ও তাদের ভোগবাদী জীবনযাপন দায়ী। কিন্তু ঝুঁকি হ্্রাসে এ দেশগুলোর অবস্থান বরাবরের মতোই একপেশে ও নিজ স্বার্থকেন্দ্রিক। এ জন্য বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখতে বিশ্বব্যাপী কার্বন উদগীরণ হ্রাস করা এবং উন্নয়নের নামে অপরাজনীতি পরিহার করার দাবি করতে হবে ভুক্তভোগী দেশগুলোকে।
গতকাল ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলা হয়। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানত দায়ী ধনী দেশগুলোর সঙ্কীর্ণ স্বার্থপর চিন্তা উল্লেখ করে তাদের এ জাতীয় মানসিকতার নিন্দা করে অধিকারভিত্তিক নাগরিক সমাজ। গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকের সাথে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধন আয়োজন করে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), কোস্ট ট্রাস্ট, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিডিপি), নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশ (এনসিসিবি) এবং শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসডিএস)। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন : সিপিআরডি মো: শামছুদ্দোহা, স্থায়িত্বশীল গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান (সিএসআরএলের) প্রদীপ কুমার রায় ও বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের বদরুল আলম এবং সিপিডির মো: আতিকুর রহমান টিপু।
মানববন্ধনে সঞ্চালক কোস্ট ট্রাস্টের মোস্তফা কামাল আকন্দ উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনে ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে সুইডেনের স্কুলপড়ুয়া ১৬ বছর গ্রেটা থানবার্গ একটি প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন, যেখানে লেখা ছিল, “ঝপযড়ড়ষ ঝঃৎরশব ভড়ৎ ঈষরসধঃব”. তার এই উদ্যোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশে^র নানা প্রান্তে স্কুলপড়ুয়ারা ধর্মঘট করে তারা সুস্থ-পরিচ্ছন্ন একটা পৃথিবীতে তাদের বেড়ে ওঠার অধিকারের কথা জানায়। বিশ^ব্যাপী এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২৩ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসঙ্ঘের বিশেষ জলবায়ুবিষয়ক অধিবেশনকে সামনে রেখে বিশ^ব্যাপী জলবায়ু ধর্মঘটের ডাক দেয় গ্রেটা ও তরুণ সমাজ। বাংলাদেশ থেকে ওই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্যই এই মানববন্ধন।
মো: শামছুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য গ্যাসগুলোর আধিক্য ক্রমেই বাড়ছে। শিল্পায়ন, বিশেষ করে শিল্পোৎপাদনে জ্বালানি শক্তির জন্য জীবাষ্ম জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহার একদিকে যেমন বায়ুমণ্ডলে তাপধারণকারী গ্যাসের আধিক্য বাড়াচ্ছে; অন্যদিকে বন উজাড়ীকরণ ও ভূমির অযথার্থ ব্যবহারের ফলে উদ্ভিদ, বন ও ভূমির কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণের সক্ষমতা নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে, যা সন্দেহাতীতভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়াচ্ছে এবং বৈশ্বিক জলবায়ু ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনছে। প্রদীপ কুমার রায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বহুদিন আগে থেকে সাবধান করলেও এ ব্যাপারে কোনো সুদৃঢ় রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়টি দীর্ঘদিন পর্যন্ত উপেক্ষিত ছিল।
বদরুল আলম বলেন, প্যারিস চুক্তি প্রণয়নের প্রায় চার বছর অতিক্রান্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। মো: আতিকুর রহমান টিপু বলেন, বিশে^র নেতৃত্বকে জাতীয়তাবাদী স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বৈশি^ক স্বার্থরক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা