২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
এলডিসি থেকে উত্তরণ

রফতানি আয় কমতে পারে ২১ হাজার কোটি টাকা

-

স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পর শুল্কমুক্ত বাণিজ্যসুবিধা প্রত্যাহার করা হলে বাংলাদেশের রফতানি আয় ৮ থেকে ১০ শতাংশ কমতে পারে। এতে বছরে প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রফতানি আয় কমবে। বর্তমান টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
গতকাল রোববার সাংবাদিকদের সাথে ‘এলডিসি তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ : এরপর কী’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ’ (সিপিডি)-এর বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরপর ক্রমান্বয়ে বাণিজ্যসুবিধাগুলো হারাবে বাংলাদেশ। যেমন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে উত্তরণের পরও বাড়তি তিন বছর শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা থাকবে।
গত শুক্রবার রাতে জাতিসঙ্ঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে যাবে। সিডিপির সদস্য ড. দেবপ্রিয় বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে গত ছয় বছর যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আগামী পাঁচ বছরও বাংলাদেশের জন্য ততোধিক গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ যেমন বেশ কিছু সুবিধা হারাবে, অন্য দিকে বেশ কিছু সম্ভাবনাও তৈরি হবে। পাশাপাশি এ সময় প্রতিকূল বিশ্ব অর্থনীতির মধ্যে বিকাশ লাভ করতে বাংলাদেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হতে পারে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব একটি উত্তরণকালীন কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘের ‘কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি’ (ইউএন-সিডিপি) তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য পাঁচটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে উল্লেখ করেছে। এগুলো হচ্ছেÑ অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রফতানি বহুমুখীকরণ ও কয়লাভিত্তিক জ্বালানি থেকে সরে এসে দূষণমুক্ত টেকসই জ্বালানির ব্যবহার করা।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, সরকার প্রণীতব্য কৌশলপত্রের বিভিন্ন লক্ষ্য থাকবে। একটা হবে স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ এখন যেসব সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছে, উত্তরণকালীন কর্মসূচির ভেতরেও সেসব পদক্ষেপ কার্যকর রাখা। এলডিসি থেকে বের হয়ে গেলেও নতুন আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সহযোগিতা যাতে পেতে পারি, সেসব বৈশ্বিক উদ্যোগকে কাজে লাগানো।
তিনি বলেন, একইসাথে কৌশলপত্র প্রণয়নে সরকারকে আরো দু’টি বিশেষ চ্যালেঞ্জের বিষয় মনে রাখতে হবে। এর একটি হচ্ছেÑ কোভিড-উত্তর পুনরুদ্ধার কর্মসূচি ও রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলা। এ ছাড়া অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় উন্নয়ন, বৈষম্য কমিয়ে আনা, মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার অব্যাহত রাখা, মানবসম্পদ উন্নয়নের ধারাকে বেগবান রাখা, জলবায়ু পরিবর্তন-সম্পর্কিত বিপন্নতা নিয়ন্ত্রণে রাখা, সুশাসন ও রাষ্ট্রজীবনের সব ক্ষেত্রে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা এসব ক্ষেত্রেও সরকারকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে স্বল্পসুদে ঋণ প্রাপ্তি ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থায়ন পাওয়া কঠিন হবে। ওষুধশিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব আইন আরো কড়াকড়ি হবে। কৃষিতে ভর্তুকি দেয়া এবং নতুন শিল্পকে সমর্থন দেয়া সীমিত করতে হবে। এ ছাড়া রাজস্ব আদায় ও বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য বাড়াতে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে নিউ ইয়র্ক, জেনেভা, ব্রাসেলসহ অন্য মিশনগুলোকে যৌথভাবে মনোযোগী হতে হবে। ব্যক্তি খাত ও বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এসব উদ্যোগে সম্পৃক্ত রাখতে হবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল