২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গতি আসছে না পুঁজিবাজারে

সিএসইর লেনদেনে উল্লম্ফন ডিএসইতে খরা
-

সপ্তাহের তৃতীয় দিনে পুঁজিবাজারের প্রধান প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে লেনদেনে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ঢাকার বাজারে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমলেও চট্টগ্রামে ব্যাপক বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসইতে ৬৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ১০৬ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ২৫০ পয়েন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১ শতাংশ বেশি। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৯২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ১১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত কয়েক কার্যদিবসের মতো গতকালও ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শেয়ার দামে পরিবর্তন হয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের। এ দিন লেনদেনের শুরুতেই ডিএসই মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল। লেনদেনের প্রথম পাঁচ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের উত্থান খুব একটা জোরদার না হলেও একবারের জন্যও ঋণাত্মক হয়নি। লেনদেনের প্রায় পুরোটা সময় একই গতিতে চলেছে সূচক। গতকাল দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৩ হাজার ৯৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে দাঁড়ায়। আর ডিএসই শরিয়াহ্ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৯১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৬টির। আর ২৩৮টির অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ৩৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে বাজারে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৫ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩ কোটি টাকার লেনদেনের মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল।
এ ছাড়া লেনদেনে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑ এসিআই, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যাল, এক্সিম ব্যাংক, বেক্সিমকো, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল এবং গ্রামীণফোন।
করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা এক লাখ টাকা চায় সিএসই : পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা এক লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। সেই সাথে করপোরেট করহার কমানোসহ ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে আরো চারটি দাবি জানিয়েছে এ শেয়ারবাজারটির কর্তৃপক্ষ। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সিএসইর প্রত্যাশা নিয়ে গতকাল প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার (করপোরেট করহার) শতকরা ২৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ২০ ভাগ করা যেতে পারে। এতে করে যেসব কোম্পানি লিস্টেড না তারা পুঁজিবাজারে আসতে অনুপ্রাণিত হবে। করমুক্ত লভ্যাংশের সীমার বিষয়ে বলা হয়, ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা যেতে পারে। এ ছাড়া ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা করা এবং এসএমই কোম্পানির জন্য নতুন করহার নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে সিএসই।
এসএমইর নতুন করহারের বিষয়ে বলা হয়, নতুন যেসব কোম্পানি শেয়ার মার্কেটে আসবে তাদের প্রথমেই কর প্রদানে বাধ্য না করে প্রথম তিন বছর শূন্য করে দেয়া যেতে পারে এবং পরবর্তীতে শতকরা ১৫ ভাগ হারে কর আরোপ করা যেতে পারে। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য মার্কেটের গভীরতা বৃদ্ধি এবং ব্যাংকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে শেয়ারবাজারে যাতে নতুন ভালো ভালো কোম্পানি আসে সে ব্যাপারে অনুপ্রেরণা দেয়া। সিএসই আরো বলেছে, কোভিড-১৯ উত্তর অর্থনীতিতে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে চাকরি হারানোর আশঙ্কা আছে। তাই যেসব কোম্পানি জব রিট্রেন্সমেন্ট করবে না তাদের জন্য কিছু ইনসেনটিভ এবং ট্যাক্স কনসেশনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement