২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
যাত্রীসঙ্কটে বিমান

অভ্যন্তরীণ রুটে চার্টার্ড ফ্লাইটের ‘ফ্যামিলি ট্রিপেও’ সাড়া নেই

-

অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল শুরুর পর থেকেই যাত্রীসঙ্কটে ভুগছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ কারণে প্রতিদিন নির্ধারিত ফ্লাইটগুলো বাতিলের ঘটনা ঘটছে। আজ রোববার এবং আগামীকাল সোমবারের তিন রুটের শিডিউল ফ্লাইটগুলোও সংস্থাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয়, যাত্রীসঙ্কট থেকে উত্তরণে দুদিন আগে সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটে ‘ফ্যামিলি ট্রিপে’ চার্টার ফ্লাইটের অফার দেয়ার পরও অদ্যাবধি সাড়া পায়নি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিমান।
গতকাল বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোকাব্বির হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনটি রুটে বিমান মোটেও যাত্রী পাচ্ছে না। যাত্রী না পেলে আমরা কিভাবে ফ্লাইট চালাব? তাই রোববার ও সোমবারের ফ্লাইটও বাতিল করতে হয়েছে।
বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো তো ঠিকই এসব রুটে যাত্রী পাচ্ছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা তো দুই হাজার টাকাতেই যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে এনবিআর-এর ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে প্রতি যাত্রীর জন্য ৫০০ টাকা। তাহলে কিভাবে সম্ভব?
এদিকে গত ৪ জুন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মুখপাত্র তাহেরা খন্দকারের পাঠানো ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ডমেস্টিক চার্টার ফ্লাইট’ শীর্ষক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভ্যন্তরীণ সাতটি গন্তব্যে ‘ফ্যামিলি ট্রিপ’ এ চার্টার ফ্লাইটের অফার দিচ্ছে বিমান। পাঁচ ঘণ্টা গ্রাউন্ড টাইম মিলিয়ে যাওয়া-আসা করা যাবে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকায়। সাতটি রুটের জন্যই পাঁচ ঘণ্টার অতিরিক্ত গ্রাউন্ড সময়ের জন্য আবার অতিরিক্ত চার্জ পরিশোধ করতে হবে। এমন সুযোগ দেয়ার পরও গতকাল শনিবার পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ কোনো রুটেই চার্টার ফ্লাইটও ভাড়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, আমরা চার্টার ফ্লাইটের বিষয়ে সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই যোগাযোগ করছেন। বিস্তারিত তথ্য তারা ওয়েব সাইট থেকে নিচ্ছেন। ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিচ্ছেন। তবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের চার্টার ফ্লাইটের জন্য কেউ বুকিং দেননি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা চার্টার ফ্লাইট বুকিং দেবেন, তারা যদি নির্ধারিত সময়ের বেশি সময় ফ্লাইট গ্রাউন্ডে রাখতে চান তাহলে প্রত্যেক ঘণ্টার জন্য আলাদা ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
উল্লেখ্য করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৬৯ দিন বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীণ তিন রুটে ১ জুন থেকে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। চালুর দ্বিতীয় দিন থেকেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীসঙ্কটে পড়ে। এরপর ৪ জুন থেকে তিন দিনের ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দেয়। একইভাবে ৫ ও ৬ জুনের সব শিডিউল ফ্লাইট বাতিল করা হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। এরমধ্যে ইউএস বাংলা শুধুমাত্র চট্টগ্রাম রুটে যাত্রী না পাওয়ায় তাদের কিছু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। একইভাবে নভোএয়ারেরও কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। তবে অদ্যাবধি বেসরকারি অপর এয়ারলাইন্স রিজেন্ট এখনো অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালানো শুরুই করেনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement