২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেতনের দাবিতে গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জে শ্রমিক অসন্তোষ : অবরোধ ভাঙচুর

গাজীপুরে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিক্ষোভ : নয়া দিগন্ত -

বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জে পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ এবং কারখানা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সাথে আলোচনায় মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধের দাবিতে গতকাল সোমবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন গাজীপুরের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এ সময় বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ রাইয়ানসহ শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গাজীপুরের অধিকাংশ কারখানা ছুটি ঘোষণা করে উৎপাদন বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ করে ছুটি ঘোষণা করায় নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলার বেশ কিছু কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীর বেতনভাতাসহ পাওনাদি পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এসব কারখানার শ্রমিকরা গত কয়েক দিন ধরেই মার্চ মাসসহ তাদের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিতে জানিয়ে আসছিলেন। ইতোমধ্যে কিছুসংখ্যক কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করলেও বেশ কিছু কারখানা শ্রমিকদের পাওনাদি এখনো পরিশোধ করেনি। সোমবারও জেলার সাত-আটটি কারখানার পোশাক শ্রমিকরা বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
এ দিকে গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর মো: রেজ্জাকুল হায়দার জানান, মহানগরীর সাতাইশ এলাকার এমএইচ ফ্যাশন এবং কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকার এসকো ওভেন লিমিটেডের শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে সকাল থেকে কারখানার গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে শ্রমিকরা সকাল ১০টার দিকে কারখানার পাশের সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় বেতন পরিশোধের ব্যাপারে মালিকপক্ষের সাথে শ্রমিকদের আলোচনার আশ্বাস দিয়ে সড়কের ওপর থেকে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শ্রমিকরা বেতন পরিশোধের দাবিতে বিকেল পর্যন্ত কারখানার সামনে অবস্থান করছিলেন।
মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জের পশ্চিম মুক্তারপুরে মদিনা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ফ্যাক্টরিতে শতাধিক শ্রমিক বকেয়া বেতনের জন্য গতকাল সোমবার বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছেন। পরে নৌ-পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো: এমরান হোসেন খান বলেন, গত ২৪ মার্চ থেকেই মিল বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫০০ শ্রমিকের ৩০০ জন বাড়ি চলে গেছেন। আরো প্রায় ২০০-এর মতো শ্রমিক মুক্তারপুর এলাকায় আছেন। দেশের এই পরিস্থিতিতে তাদের মার্চ মাসের বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি। নানা রকম চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বেতনের কিছু অংশ দেয়া হয়েছে। বাকি টাকাও দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বকেয়া বেতনের টাকা প্রদান করার চেষ্টা করছেন বলে তিনি জানান।
এমরান খান বলেন, পুরান ঢাকার ন্যাশনাল ব্যাংকে তাদের লেনদেন; কিন্তু এই ব্যাংকটি সপ্তাহে এক দিন মাত্র খোলা থাকছে। এসব কারণে নানা সমস্যা হচ্ছিল। মিলটির এক শ্রমিক জানান, হাতে টাকা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। তাই বেতনের টাকা তাদের খুব বেশি দরকার।
মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মো: কবির হোসনে খান জানান, বেলা পৌনে ১১টার দিকে শতাধিক শ্রমিক কারখানাটির ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে ভাঙচুর চালান এবং কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
জামালপুরে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার অবৈধ গাড়ি কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগে বিভেদ শরীয়তপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুট্টার আবাদ মিরসরাইয়ে ৩ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আলুতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা ফরিদপুরের পদ্মাপাড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ২৩ এস্কেভেটর ও ৮ ট্রাক ফেলে পালালো বালুদস্যুরা বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা গলাচিপায় নির্বাচনী মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীবকে শোকজ হোসেনপুরে গ্রামের গ্রাহকরা দিনে এক ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না ঈদগাঁওতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ৭ প্রার্থীকে জরিমানা গাজীপুরে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন

সকল