২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস আজ

-

আজ ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস। পর্বতের টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য ইত্যাদি বিষয়ের গুরুত্ব তুলে ধরাই এই দিবসের উদ্দেশ্য। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পর্বতারোহীদের সংগঠনগুলো। ২০০৩ সালে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস নির্ধারণ করে। এরপর বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর এই দিনে দিনটি উদযাপন হয়ে আসছে। ২০১৬ সাল থেকে জাপানে দিবসটি উদযাপনে রাষ্ট্রীয় ছুটি থাকে।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুুল হামিদ পার্বত্য অঞ্চলগুলোর পরিবেশ রক্ষায় তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ও মানুষের অপরিকল্পিত ব্যবহারের কারণে বিশ্বব্যাপী পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি, খরা, ঝড়-ঝঞ্ঝা অন্য দিকে বৃক্ষনিধনের মাধ্যমে বন উজাড়, এ দুইয়ের প্রভাবে পার্বত্য এলাকায় প্রকৃতির ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী তরুণ সমাজকে পার্বত্য অঞ্চলগুলোর পরিবেশ রক্ষায় সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া একান্ত জরুরি।’
তিনি ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি করেছি। এই চুক্তি এ অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।’
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাউন্টেন্স ম্যাটার ফর ইয়ুথ’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়নে বনায়ন, জীববৈচিত্র্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ কোনো পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ এলাকার জনগণ সমঅংশীদার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় ২২ শতাংশই পার্বত্য অঞ্চল। এ অঞ্চলে পৃথিবীর প্রায় এক- দশমাংশ মানুষের বাস এবং ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মিঠা পানির উৎস। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। পর্বতমালা, নদ-নদী, বহু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী এ অঞ্চলকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন অপরিহার্য।’

 


আরো সংবাদ



premium cement