২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পানি থই থই রাজধানী

প্লাবিত ঢাকার নিম্নাঞ্চল
ভারী বৃষ্টিপাতে রাজধানীর কোনো কোনো স্থানে কোমর সমান পানিতে দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। গতকাল দয়াগঞ্জ থেকে তোলা ছবি : মোহাম্মদ শরীফ -

একটানা বৃষ্টিপাতে দ্বিতীয় দিনের মতো পানিতে ভাসলো রাজধানী। বেশির ভাগ সড়কেই হাঁটুপানি। ফুটপাথেও পানি থই থই। কোথাও কোথাও নদীর ঢেউয়ের মতো পরিবেশ। এর মধ্য দিয়ে চলতে গিয়ে পথচারী, যাত্রী সবাইকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগের চিত্র দেখতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুরে যান। এ সময় তিনি বলেন, সমন্বিত পরিকল্পনার অভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত পদক্ষেপই পারে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে। এ দিকে রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিয়ে আজ বুধবার জরুরি সভা ডেকেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত গতকাল সারাদিনও অব্যাহত ছিল। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর অনেক রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। বিশেষ করে মতিঝিল, গুলিস্তান, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, মিরপুর, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, মালিবাগ, রামপুরা, পুরান ঢাকা, খিলক্ষেতসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী মানুষ। তবে জলাবদ্ধতার চেয়েও বেশি ভুগিয়েছে বৃষ্টি। এতে নগরজীবনে ছন্দপতন ঘটে।
রাজারবাগ এলাকায় কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী খন্দকার আলমগীরের সাথে। তিনি বলেন, সকালে কাজে বের হয়ে বিপদে পড়েছি। বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, অন্য দিকে নেই পর্যাপ্ত গণপরিবহন। অনেক জায়গায় ফুটপাথও তলিয়ে গেছে। রাজধানীতে প্রতি বছর যদি এভাবে জলাবদ্ধতা হয় তাহলে সেবা সংস্থাগুলো করে কী? এর একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত। গতকাল ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট দেখে মনে হচ্ছিল সড়কেই যেন নদীর ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে!
ধানমন্ডি ২৭ নং এলাকার পথচারী শাকিলা ইয়াসমিন বলেন, রাস্তা দিয়ে যখন বাস আসছে তখন মনে হচ্ছিল এটা কোনো সড়ক নয়, নদী। প্রতিবার এমন জলাবদ্ধতা হয় কিন্তু নাগরিক সমস্যা সমাধানে কেউই কাজ করে না। সারাদিন বৃষ্টি, সড়কে পানি জমাট, এর মধ্যে আবার গণপরিবহনও কম। সবমিলিয়ে রাজধানীবাসী ভোগান্তিতে দিন পার করেছে।
নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারা বছর কী কাজ করল? রাস্তা খুঁড়ে মোটা মোটা পাইপ বসাল। ভাবছিলাম যতই বৃষ্টি হোক, এবার মনে হয় নিউমার্কেটের সামনের রাস্তা আর ডুববে না। সোমবার মনে করছিলাম টানা বৃষ্টির কারণে হয়তো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু! আবার বৃষ্টির পানিতে রাস্তা তলিয়ে গেল। দেখেন ডাস্টবিনের ময়লা কেমনে পানিতে ভাসছে। এখন নিয়তি মেনে নেয়া ছাড়া আর কীইবা করার আছে। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী রাসেল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনার কারণে এমনিতেই বেচাকেনা নেই, এরপর বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা হওয়ায় দোকান খোলা রাখলেও ক্রেতা আসতে পারছেন না। এ জলাবদ্ধতা আর কত বছর দেখতে হবে কে জানে!
জলাবদ্ধতার ভোগান্তি সরেজমিন দেখতে গতকাল দুপুরে মিরপুর এলাকা পরিদর্শন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম। রাজধানীর শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানুষের দুর্দশা দেখে মেয়র দ্রুত পানি অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি ড্রেনেজ ও পানি ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, নগর পরিকল্পনায় কোনো অনিয়ম দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। কারো গাফেলতি পেলে অবশ্যই শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আমি এখানে এসে দেখলাম জলাবদ্ধতায় কী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীর। তিনি বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। জলাবদ্ধতা হলে মানুষ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের দোষারোপ করেন। এখানে মেট্রোরেলের উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। নানাবিধ সমস্যার কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যেতে পারছে না। তা ছাড়া আমাদের খালগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এর জন্য চাই সমন্বিত পরিকল্পনা। আতিকুল ইসলাম বলেন, যে সংস্থা যেখানে কাজ করুক না কেন যথাযথ পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে হবে। সেজন্য বলেছি, নগর পরিকল্পনায় কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি হলে বরদাশত করা হবে না। এখানে শেওড়াপাড়া এলাকার জনগণ দাবি করেছেন তারা এই রাস্তা প্রশস্ত দেখতে চান। আমরাও চেষ্টা করব কিভাবে রাস্তাটা আরো প্রশস্ত করা যায়।
আশপাশের নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত ঢাকার নিম্নাঞ্চল
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত এবং ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের বন্যার পানি নেমে আসায় বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, বংশী, তুরাগ, কালিগঙ্গা ও বালু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলে বেড়িবাঁধ থাকলেও পূর্বাঞ্চলে বন্যা ঠেকানোর মতো বাঁধ বা অন্য কোনো অবকাঠামো না থাকা, বেশির ভাগ নিচু এলাকার জলাভূমি ভরাট করে আবাসিক এলাকা গড়ে ওঠায় পানিতে অনেক স্থান ডুবে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঢাকা ওয়াসা পানি নিষ্কাশনের জন্য পাঁচটি স্থানে পাম্প স্থাপন করলেও তা পূর্বাংশের নিম্নাঞ্চলকে বন্যামুক্ত করতে পারবে না। গোড়ান, বনশ্রী, বাসাবো, আফতাবনগর, সাঁতারকুলসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষের বসবাস। এ ছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের মধ্যবর্তী ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও ডিএনডি বাঁধ এলাকাতেও বৃষ্টির পানি জমে বন্যার রূপ ধারণ করছে । এসব এলাকায় একবার পানি ঢুকে পড়লে তা কমতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চার পাশের নদ-নদীগুলোর মধ্যে তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও কালিগঙ্গায় পানি দ্রুত বাড়ছে। ঢাকা শহরের পশ্চিমাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকার পয়ঃনিষ্কাশন লাইন বুড়িগঙ্গা ও তুরাগে এবং পূর্বাংশের পয়ঃনিষ্কাশন লাইন পড়েছে বালু ও শীতলক্ষ্যায়। কিছু অংশের নিষ্কাশন নালা হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন লেকে পড়েছে। ফলে ঢাকার চার পাশের নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে গেলে রাজধানীর বড় অংশের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হবে। আর বিপদসীমা অতিক্রম করলে খালগুলো দিয়ে পানি নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে।
ঢাকা ওয়াসার পানির পাম্প হচ্ছে, কল্যাণপুর, সেগুনবাগিচা ও রামপুরা এলাকায়। এ ছাড়া গোড়ানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাম্প রয়েছে। সাধারণত পানির উচ্চতা ৩ দশমিক ৬৫ মিটার উঠলেই গেট বন্ধ করে দিয়ে পাম্পগুলো চালু করে ঢাকা ওয়াসা। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল সাড়ে ৩ মিটার। তবে প্রতিদিনই পানি বাড়ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, ঢাকা শহরের পশ্চিমাংশের ১৬৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বেড়িবাঁধ থাকায় সেখান দিয়ে পানি প্রবেশ করতে পারবে না। তবে পূর্বাংশের কিছু নিচু এলাকায় পানি ঢুকলে বেশি কিছু করার নেই। পানি পাম্প করে দ্রুত নামানোর চেষ্টা করতে হবে।
সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসের (সিইজিআইএস) নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ একটি ব-দ্বীপ এলাকা। এখানে প্রতি বছর বন্যা হবে এবং যদি তা ২০ শতাংশ এলাকার মধ্যে থাকে, তাহলে তা ভালো। কারণ, এতে সারা বছর ভূগর্ভের পানি পূর্ণ ভরাট হয়। তবে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হচ্ছে, বন্যার পানি ঢুকে পড়লে তা নামতে বেশি সময় লাগে। এর কারণ হলো, নদীগুলোর প্রবাহপথে বাঁধ ও সড়কসহ নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, ঢাকার পানি নামানোর জন্য আপাতত করণীয় হলো, চার পাশের নদীগুলোর সাথে সংযোগ খালগুলো দ্রুত যুক্ত করা এবং ভ্রাম্যমাণ পাম্প বসিয়ে নিম্নাঞ্চলের পানি সরানোর দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া।
কেরানীগঞ্জে নদীতে ১০ কিলোমিটার এলাকা : বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও কালিগঙ্গা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কেরানীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুর, কলাতিয়া ও রোহিতপুরসহ পনেরোটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সরেজমিন বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি, গাছপালা, আবাদি ও অনাবাদি জমি, রাস্তা নদীতে ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। রোহিতপুর ইউনিয়নে একটি বাড়ি যখন নদীতে ভেঙে পড়ছিল, তখন মালিকরা বাড়ি থেকে ইটকাঠ খোলার চেষ্টা করছিলেন। বিশ-পঁচিশ বছরে দুই একর জমি ও আলিশান বাড়ি ভেঙে অনেকটাই অসহায় হয়ে গেছেন এক সময় এলাকার প্রভাবশালী শেখ সবুরের পরিবার। একাধিকবার ধলেশ্বরীর ভাঙনে পড়ে কোনো মতে টিকে আছেন তারা। সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে তার নিজের কয়েক বিঘা জমিসহ বাড়িঘর নদীতে তলিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শেখ সবুর বলছিলেন, সেই ২০০১ সাল থেকেই তিনি ভাঙনের কবলে পড়ছেন। এরপর থেকে একের পর এক নদীভাঙনে বারবার তাকে ঘর বদল করতে হয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব। আরেক ভুক্তভোগী হেলেনা বেগম বলেন, যেভাবে ভাঙা শুরু হয়েছে যেকোনো মুহূর্তে আমার বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এক সপ্তাহ আগে নিজের বাড়ি হারিয়ে নদীপাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন জাহানারা খাতুন। রাক্ষুসে কালিগঙ্গা নদীপাড়ে দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িতকণ্ঠে তিনি হাত দিয়ে দেখালেন, ওই যে দূরে যেখানে জল পাক খাচ্ছে, সেখানেই ছিল তার বাড়ি। গাছপালা, গোয়ালঘরসহ সব ছিল, কিন্তু এখন আর কিছুই নেই। তিনি বলছিলেন, দুই মাস ধরেই নদী একটু একটু করে ভাঙতে শুরু করে। বাড়ির কাছাকাছি চলে আসায় গত বৃহস্পতিবার তিনি ঘর ভেঙে সরিয়ে নেন। শুক্রবারই তার ভিটেমাটি নদীতে তলিয়ে যায়। একই ইউনিয়নের লাখিরচর গুচ্ছগ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। এই এলাকার ধলেশ্বরী নদীর তীর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভেঙে নদীতে চলে যাওয়ায় গুচ্ছগ্রামের কয়েক হাজার মানুষের আতঙ্কে দিন কাটছে। হযরতপুর ইউনিয়নের বয়াতি কান্দিসহ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, আমরা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। এখানে কয়েক কিলোমিটার জায়গা ও বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে কথা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সাথে মিটিং করেছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের তালিকা করছি। আশা করছি খুব শিগগির ভাঙন প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ছাড়া কেরানীগঞ্জের প্রতিবেশী জেলা মানিকগঞ্জের দৌলতপুর, শিবালয়, ঘিওর ও হরিরামপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বেশির ভাগ ঘর-বাড়িতে পানি ওঠায় গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। খাবার পানি ও খাদ্যসঙ্কটে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে বানভাসিদের। রাস্তাঘাট তলিয়ে পানিবন্দী হয়েছে পড়েছেন ১০ হাজার মানুষ। খাদ্যসহায়তার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সিংরাইল এলাকার বন্যাকবলিত আনোয়ার হোসেন জানান, গত দুই দিনে পানি বৃদ্ধির কারণে গরু-ছাগল নিয়ে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। একই এলাকার রানী মন্ডল বলেন, এক দিকে করোনার মধ্যে আয়- রোজগার বন্ধ অন্য দিকে বন্যার পানিতে কোনো দিকে যাওয়া-আসা করা যাচ্ছে না। হাট-বাজার, রাস্তাঘাট তলিয়ে খুব কষ্টে আছি। কেউ দেখতেও আসেননি।

খালিদ সাইফুল্লাহ ও রাকিব হোসেন


আরো সংবাদ



premium cement