২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইতালির বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ১২৫ বাংলাদেশীকে

-

কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ইতালি যাওয়া ১২৫ বাংলাদেশীকে বিমান থেকে নামতে দেয়া হয়নি। একই বিমানে তাদের আবারো কাতার ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ইতালির জাতীয় দৈনিক ইল মেসসাজ্জেরোর অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১টার দিকে ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি অবতরণ করে; কিন্তু বাংলাদেশী যাত্রীদের ইতালিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তাদের সে দিনই একটি ফ্ল¬াইটে কাতার ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে আসা সব ধরনের ফ্লাইট স্থগিত করেছে ইতালি। এক সপ্তাহ এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। সোমবার বাংলাদেশ থেকে আসা চার্টার্ড (ভাড়া করা বিশেষ বিমান) ফ্লাইটে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যাত্রী করোনা পজিটিভ হওয়ায় ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে দেশটির সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের সাথে ফ্লাইট বাতিল করলেও কাতার থেকে যাওয়া ফ্লাইট চালু রেখেছে ইতালি।
তাই দোহা থেকে যাওয়া ওই ফ্লাইটটির বাংলাদেশী যাত্রীদের ইতালি প্রবেশে কোনো বাধা থাকার কথা ছিল না; কিন্তু ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে ইল মেসসাজ্জেরো জানায়, ওই ১২৫ বাংলাদেশী ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি তাদের বিমান থেকেও নামতে দেয়া হবে না। কেবল জরুরি স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন এমন যাত্রীরা নামতে পারবেন। কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটিতেই স্থানীয় সময় বিকেলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
গত সপ্তাহে রোমের লাজিও অঞ্চলে বসবাসকারী সব বাংলাদেশীকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছিল ইতালি সরকার। এ অঞ্চলের বাংলাদেশীদের মধ্যে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বলেছেন, গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে আসা চার্টার্ড ফ্লাইটের সব যাত্রীকে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৩৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। করোনা পজিটিভ পাওয়া যাত্রীদের সরাসরি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অন্যদের হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এরপরই বাংলাদেশ থেকে আসা সব ধরনের ফ্লাইটের ওপর এক সপ্তাহ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে ইতালিতে নিয়মিত ফ্লাইট এখন বন্ধ রয়েছে। তবে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশীরা চার্টার্ড বা ভাড়া করা বিশেষ ফ্লাইটে রোমে আসছেন। এ পর্যন্ত ছয়টি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। ইতালির বিমানবন্দরে অবতরণের পর সব যাত্রীকে বলা হয়েছিল, তাদের দুই সপ্তাহ বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু বাংলাদেশী এই নিয়ম মানেননি। তাদের জরিমানাও করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement