২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি, যে যার মতো চলছেন

-

স্বাস্থ্যবিধি কেউই মানছেন না বাসের যাত্রীও মানছেন না, চালক-হেলাপারও মানছেন না। দোকানিও মানছেন না, দোকানের ক্রেতাও মানছেন না। এমনকি ফুটপাথের পথচারীও মানছেন না। আগের মতোই বাসের হেলপার যাত্রীর পিঠে হাত দিয়ে টেনে বাসে তুলছেন, আবার নামার সময় হাত ধরে নামিয়ে দিচ্ছেন। যাত্রীরাও আগের মতোই গাড়িতে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি করছেন, কে কার আগে উঠবেন। দোকানের সামনে গায়ে গা লাগিয়ে ক্রেতারা দাঁড়িয়ে আছেন পণ্য কেনার জন্য। আর স্বাস্থ্য বিধি মানানোর দায়িত্ব যাদের ওপর তাদের দেখা নেই কোথাও। এই ছিল গতকালের রাজধানীর চিত্র।
দীর্ঘ ৬৬ দিন পর গতকালই সরকারি অফিস খুলেছে। সেই সাথে বেসরকারি অফিসগুলোতেও উপস্থিতি বেড়েছে। ব্যাংকে স্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। প্রথম দিনেও যে চিত্র দেখা গেছে তা অনেকটা শিউরে ওঠার মতো। মানুষের চলাচল ও গণপরিবহন পরিচালনায় যে বিধিনিষেধ সরকার আরোপ করেছে তা কোথাও পালিত হয়েছে বলে চোখে পড়েনি। গতকাল বেলা সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে প্রায় অর্ধশত বাস টিকাটুলি এলাকা অতিক্রম করেছে। এরমধ্যে প্রায় প্রতিটি গাড়িতে দেখা গেছে যাত্রীরা ঠাসাঠাসি করে বসে আছেন। এমনকি সরকারি পরিবহন বিআরটিসিতেও দেখা গেছে প্রতিটি সিটে যাত্রী বসে আছেন। সিটের মধ্যে কোনো ফাঁকা নেই। টিকাটুলির এই স্টপিজে যতোগুলো গাড়ি থেমেছে এবং যাত্রী ওঠানামা করেছে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে হেলপার যাত্রীর শরীর স্পর্শ করছেন। যাত্রীদের মধ্যে লক্ষ করা গেছে প্রতিযোগিতা চলছে, কে কার আগে উঠবেন এবং কে কার আগে নামবেন। যারা গাড়িতে উঠছেন তাদের কার শরীরের কী অবস্থা তা অন্যের জানার কোনো সুযোগ নেই।
লঞ্চের অবস্থা ছিল আরো ভয়াবহ। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। আগের মতোই লঞ্চঘাটে জটলা। দীর্ঘ দিন পরে গতকাল লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। লঞ্চে মার্কিং করে দিলেও যাত্রীরা তা মানছেন না। যে যেভাবে পেরেছেন লঞ্চে উঠেছেন এবং আগের মতোই বিছানা বিছিয়ে বসেছেন। সেখানেও কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না। একজন আরেকজনের গায়ে লেগে বসে আছেন।
অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের মালিক নিজাম উদ্দিন গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, বাসের ভাড়া বাড়ানো হলেও লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি করেনি। যেভাবে মার্কিং করে দিয়েছে তাতে তিনভাগের একভাগ যাত্রীও বহন করা সম্ভব নয়। এভাবে হয়তো লঞ্চ মালিকরা দু’একদিন পরীক্ষামূলক লঞ্চ চালাবেন। পরে আর নৌরুট চালু রাখা সম্ভব হবে না।
রাজধানীতে সাধারণত হেঁটে চলাচলকারীদের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণ গতকাল দেখা যায়নি। ফুটপাথে দেখা গেছে কে কার আগে যাবেন। মানুষকে প্রতিযোগিতার মধ্যে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। রাজধানীর পল্টনের ব্যবসায়ী মোকারোফ জানান, ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার সময় মানুষ হুমড়ি খেয়ে গায়ের ওপর পড়ছেন। দোকানে কিছু কেনার জন্য দাঁড়ালে মানুষ গায়ের ওপর উঠে যায়। মানুষকে বলেও কোনো কাজ হয় না। কেউই কোনো কিছুই মানতে চান না।


আরো সংবাদ



premium cement
আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্রিমিয়া সাগরে বিধ্বস্ত হলো রুশ সামরিক বিমান জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান

সকল