২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাজেট ঘাটতি মেটাতে ৪৫০ কোটি ডলার সহায়তা কামনা

প্রথমবারের মতো জাইকার কাছে চাওয়া হয়েছে ১০০ কোটি ডলার; আইএসডিবির কাছে ১৯ কোটি ডলার
-

বাজেট ঘাটতি মেটাতে আগামী অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ সহায়তা চাইছে সরকার। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৪৫০ কোটি ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে। টাকার মানে যার পরিমাণ ৩৮ হাজার ২৫০ কোটি।

করোনার কারণে দেশের অর্থনীতির অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, প্রথাগত আন্তর্জাতিক সংস্থা যারা এত দিন বাংলাদেশকে বাজেটসহায়তা প্রদান করে আসছিল তাদের বাইরেও অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে এবার এ সহায়তা চাইছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

জাপানি উন্নয়ন সহযোগী জাইকার কাছ থেকে এবার ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইএসডিবি) কাছ থেকে সহায়তা হিসাবে চাওয়া হয়েছে আরো ১৯ কোটি ডলার।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, এত দিন পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে মোটাদাগে বাজেটসহায়তা পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। এর বাইরে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ‘ব্যালান্স অব পেমেন্ট’-এর ভারসাম্য রক্ষার জন্য ঋণ পাওয়া যায়। এ অর্থটিও অনেক সময় বাজেট ঘাটতি মেটানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে। জাইকা ও আইএসডিবির মতো উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আগে কখনো বাংলাদেশ বাজেটসহায়তা চায়নি। এ দুই সংস্থা প্রকল্পভিত্তিক কাজে অনুদান ও ঋণ প্রদান করে থাকে। কিন্তু এবার অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ দুই সংস্থার কাছেও বাজেটসহায়তা খাতে অর্থ চাওয়া হয়েছে।

আইএসডিবি তার সদস্য দেশগুলোর জন্য কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ২৩০ কোটি ডলারের যে কৌশলগত প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সেই তহবিল থেকেই বাংলাদেশ অর্থসহায়তা চেয়েছে।

অর্থমন্ত্রী গত ২৫ এপ্রিল আইএসডিবির প্রেসিডেন্ট ড. বন্দর এম এইচ হাজ্জার সাথে এক টেলিকনফারেন্সে এ সহায়তা চান।

এ বিষয়ে ইআরডির এক কর্মকর্তা জানান, জাইকা ও আইএসডিবি অর্থসহায়তা দিতে রাজি হয়েছে। আইএসডিবির পক্ষ থেকে চলমান একটি প্রকল্প থেকে অর্থ স্থানান্তর করে বাজেটসহায়তা খাতে দেবে বলে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এর আগে গত এক মাস ধরে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন দাতাসংস্থার কাছে চলতি ও আগামী অর্থবছরের বাজেটে বাড়তি আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর মধ্যে এআইআইবির (চীনভিত্তিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ব্যাংক) কাছে চলতি অর্থবছরে ৫০ কোটি ডলার এবং আগামী দুই অর্থবছরে ৫০ কোটি ডলার ও করোনা মোকাবেলায় ১০ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবির কাছে চাওয়া হয়েছে ১০০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৭০ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংকের কাছে চলমান সহায়তার বাইরে ৫০ কোটি ডলার এবং আইএসডিবির কাছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৫ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে। এ সংস্থাটি ১৯ কোটি ডলার দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুধু বাজেটসহায়তা হিসাবেই নয়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে দাতা সংস্থাগুলোর কাছে সহায়তা কামনা করেছে। চলতি অর্থবছরে করোনায় স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাংক ১০ কোটি ডলার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বাজেটসহায়তাসহ অন্যান্য খাতে ৬০ কোটি ২৩ লাখ ডলার এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ৪৫ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট ক্রেডিটের আওতায় বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রাপ্য ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ২৫ কোটি ডলার দ্রুত ছাড়ের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য

সকল