২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আবারো ‘দ্রুত ও ক্ষিপ্র’ হয়ে উঠতে চান তাসকিন

- সংগৃহীত

আবারো ধারাবাহিক হতে চান পেসার তাসকিন আহমেদ। এ জন্য সর্বোচ্চ গতি ও বিপজ্জনক বোলার হতে কঠোর পরিশ্রম করছেন দেশের অন্যতম সেরা এ পেস বোলার।

তাসকিনের ভান্ডারে সব সময়ই পেস ছিল। কিন্তু ছয় বছরের ক্যারিয়ারে ধারাবাহিকতার অভাব ছিলো তার। ক্রিকেট ইতোমধ্যে দেখেছে যে, যখন ধারাবাহিক থাকেন তখন ব্যাটসম্যানদের জন্য কতটা ভয়ংকর হতে পারেন তাসকিন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাসকিনের সেই ধারাবাহিকতা খুব কম সময়েই ছিলো।

ধারাবাহিকতার কারণে অধিনায়কের সমর্থন লাভে সহায়ক হবে সেটা বুঝতে পারা তাসকিন জানান, ফিটনেসের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। কারণ ফিট বোলাররাই নিজের পছন্দের জায়গায় বল করতে পারে। আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে স্কিল সেশন শেষে তাসকিন বলেন, ‘অতীতের চেয়ে আমার ফিটনেসের উন্নতি লক্ষনীয়, কিন্তু উন্নতির কোন শেষ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি যদি নিজেকে বিশ্বমানের কাতারে নিতে চাই, আমাকে আরও বেশি ধারাবাহিক হতে হবে, তাই আমি জানি আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আশা করি, ভবিষ্যতে ভালো কিছু ঘটবে এবং আমি ফিটনেস ও স্কিলের উন্নতির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো যার ফলে আমি আরও বেশি ধারাবাহিক হতে পারি।’

ক্যারিয়ারের শুরুটা দুর্দান্তই ছিলো তাসকিনের। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা ভারত মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়। পরে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৫৮ রানে গুটিয়ে বৃষ্টি আইনে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।

তবে দারুণ শুরুর পরও ইনজুরির কারণে ক্যারিয়ারে বার বার হোচট খেয়েছেন। ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে ২০১৭ সালে টেস্ট দলে ডাক পান তিনি। হায়দারাবাদের ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দ্রুত গতির ডেলিভারির কিছু স্পেল করেছিলেন তাসকিন। যা বিশ্বমানের হিসেবে অভিহিত হয়েছিলো, কারণ গতি দিয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বেকাদায় ফেলেছিলেন তিনি।

ঐ সিরিজের পর, ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছিলো, যেকোন ফরম্যাটে অধিনায়কের পছন্দের বোলার হতে পারেন কিন্তু এমনটা হয়নি। আরও একটি ইনজুরি তাকে দল থেকে ছিটকে দেয় এবং পরবর্তীতে ছন্দ ফিরে পেতে কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি।

২০১৯ সালের বিপিএলে কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিসের সাথে কাজ করেছেন এবং বিশ্বকাপের সুযোগ পাবার জন্য ফর্ম পুনরুদ্ধার করতে পারেন তাসকিন। কিন্তু আরও একটি ইনজুরিতে ছিটকে পড়েন দল থেকে। ছন্দ ও গতির মাধ্যমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে আবারো দলে সুযোগের প্লাটফর্ম পেয়েছিলেন তাসকিন, কিন্তু কোভিড-১৯এর কারণে দেশের ক্রিকেটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে, হতাশায় পড়েন তিনি।

তাসকিন জানান, লক ডাউন চলাকালীন ভার্চুয়ালি কোচদের সাথে কাজ করেছেন এবং ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরুর পর পুনরায় ছন্দ ফিরে পেতে তাকে অনেক সহায়তা করে।

তাসকিন জানান, ‘অতীতে চেয়ে এখন ভালো ছন্দে আছি এবং আমি এখন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। আমি আমার গতি ও সিমের অবস্থান নিয়ে কোচদের সাথে কঠোর পরিশ্রম করছি। যদি সুস্থ ও ফিট থাকলে ছন্দ ফিরে পাব আশা করছি। ছন্দের পাশাপাশি, নিখুঁত হতে এবং সিমের অবস্থান ও গতিও ভালো হবে আশা করছি।’ বাসস


আরো সংবাদ



premium cement