২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কোচের পারিশ্রমিকই সবচেয়ে বেশি

-

আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ ( বিসিএল)। বিকেল ৩টায় কমলাপুর স্টেডিয়ামে নবাগত উত্তরা ফুটবল ক্লাবের প্রতিপক্ষ নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। ১৩ দল এই লিগে খেলার কথা থাকলেও টিঅ্যান্ডটি ক্লাব অর্থ সঙ্কটে দল গড়তে ব্যর্থ হওয়ায় ১২ দলের লিগ। এই লিগে বিদেশী ফুটবলার নিষিদ্ধ। ফলে নতুন ফুটবলার তৈরির মঞ্চ এই লিগ। প্রিমিয়ারে ক্লাব না পাওয়া ফুটবলার এবং উঠতি ফুটবলারদের নিয়েই বিসিএল। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকও তেমন বেশি নয়। তবে এবার ফর্টিস এফসি প্রচুর টাকা খরচ করে দল গড়েছে। তাদের এই বিশাল বাজেটে কোচও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি টাকা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। আর আই রেকর্ড গড়া কোচ হলেন আকবর হোসেন রিদন। ফর্টিস এর সহসভাপতি শাহীন হাসান জানান, আমরা রিদনকে ১২ লাখ টাকা দিচ্ছি এবারের লিগের জন্য।
ফর্টিস শুধু কোচকেই বেশি টাকা দিচ্ছে না। তাদের ফুটবলাররাও ভালো টাকা পাচ্ছেন। গোলরক্ষক উত্তম বড়–য়া সাত লাখ টাকায় এবার এই নতুন ক্লাবে চুক্তিবদ্ধ। জানান শাহীন। এ ছাড়া খান মোহাম্মদ তারাসহ আরো কয়েক ফুটবলার পাঁচ-ছয় লাখ করে পাচ্ছেন এই ক্লাব থেকে। ক্লাব সূত্রে জানা গেছে তা। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ইতিহাস বলছে এই লিগে কোচই বেশি পারিশ্রমিক পান ফুটবলারের চেয়ে। আগে এই লিগের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকধারী কোচ ছিলেন কামাল বাবু। ২০১৬ সালে তিনি আরামবাগ ক্লাবের হয়ে সাত লাখ টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করেন। এর দুই বছর আগে কামাল বাবু সাত লাখ টাকা পেয়েছিলেন রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির হেড কোচ হিসেবে। কামাল বাবু তথ্য দেন, আমি প্রিমিয়ার থেকে গিয়ে বিসিএল এ কোচিং করিয়েছি বলেই এত টাকা পেয়েছিলাম। তা ছাড়া আমার চ্যালেঞ্জ ছিল দলকে প্রিমিয়ারে তোলার।
এবার ভালো দল গড়েছে ফর্টিস ও প্রিমিয়ার থেকে নেমে যাওয়া নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। নোফেল তাদের কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিয়েেেছ মনোয়ার হোসেন ময়নাকে। ময়না জানান, তার সাথে ক্লাবের চুক্তি চার লাখ টাকার। নোফেলের ফুটবলারদেরও পারিশ্রমিক তিন-চার লাখ টাকার মধ্যে। অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে তা। অন্য ক্লাবগুলোতে ফুটবলারদের পারিশ্রমিক দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। আর কোচরা পাচ্ছেন দু-তিন লাখ টাকা। এদিকে ঢাকা সিটি এখন পর্যন্ত কোনো ফুটবলারের পারিশ্রমিক ঠিক না করেই তাদের খেলাচ্ছে লিগে।


আরো সংবাদ



premium cement