১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


দুই ভাবির সহযোগিতায় গৃহবধূকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

দুই ভাবির সহযোগিতায় গৃহবধূকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার -

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে গৃহবধূকে দুই ভাবির সহযোগিতায় ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে তা নেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আবারো ধর্ষণের অভিযোগে জবেদুল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই ভাবিকেও খুঁজছে পুলিশ।

মামলার ও প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে মিঠাপুকুর থানার ওসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো: জাকির হোসেন জানান, উপজেলার অভিরামপুর এলাকার ওই গৃহবধূকে একই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে জবেদুল ইসলাম (২৫) গত ৪ রমজান ইফতারের দাওয়াত দিয়ে তার প্রতিবেশী ভাবি রাশেদা বেগম ও শাপলা বেগমের বাড়িতে ডেকে আনেন। ইফতারের সময় পানীয়ের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ওই গৃহবধূকে অচেতন করায় পরে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এরই মধ্যে দুই ভাবি ধর্ষণের সময় মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই বাড়িতে এনে আবারো গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন জবেদুল।

ওসি বলেন, মামলায় বলা হয়েছে, ওই গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় থাকেন। বিষয়টি তিনি অনেক দিন গোপন রেখেছিলেন। কয়েক দিন আগে আবারো গৃহবধূকে ভাবি শাপলা বেগমের বাসায় রাত যাপনের প্রস্তাব দেন জবেদুল। উপায়ন্তর না দেখে পুরো বিষয়টি ঢাকায় থাকা স্বামীকে খুলে বলেন ওই গৃহবধূ। স্বামী ঢাকা থেকে এসে এ বিষয়টি শুনে মামলার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু স্থানীয় মাতাব্বর গোলাম রব্বানী ও আশরাফ আলী থানায় যেতে বাধা দেন এবং নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মিমাংসার জন্য চাপ দেন।

এরইমধ্যে তারা জবেদুলের কাছ থেকে মিমাংসার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পরে রোববার রাতে ঘটনার শিকার গৃহবধূ দুলাল বেগম মামলা করেন। এর আগেই রোববার দুপুরে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত জবেদুলকে স্থানীয় জায়গীরহাট এলাতা থেকে আটক করি।

মামলার পর গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপর আসামি শাপলা বেগম ও রাশেদা বেগম ও তার স্বামী জালাল উদ্দিনকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি আমরা। আর ভিকটিমের ডাক্টারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

রংপুর পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) কামরুজ্জামান জানান, স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি আমাকে মোবাইলে অবহিত করলে বিষয়টি আমি এসপি মহোদয়কে জানাই। পরে তার নির্দেশে ঘটনাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে মামলা গ্রহণের নির্দেশনা দেই। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কেউই ছাড় পাবে না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: খোরশেদ আলী জানান, ঘটনাটি শোনামাত্রই আমি ভিকটিমকে মামলা করার নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি বলেন, এই ঘটনায় যারা মীমাংসার চেষ্টা করেছেন এবং অর্থ লেনদেন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি পুলিশকে বলেছি।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল