১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

সৈয়দপুরে রাস্তা দখল করে ঘর স্থাপন : নিষেধ করায় হত্যার হুমকি

সৈয়দপুরে রাস্তা দখল করে ঘর স্থাপন : নিষেধ করায় হত্যার হুমকি - ছবি : নয়া দিগন্ত

নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলাচলের রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে ঘর তুলেছে দু’ব্যক্তি। নিষেধ করায় বেধড়ক মারধর করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সৈয়দপুর থানায় এ ব্যাপারে মামলা করেছেন উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ কিসামতপাড়ার আজিজুল ইসলামের ছেলে মমিনুল ইসলাম সাগর।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘তার বাড়ি কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ মৌজার সীমানায় অবস্থিত। বাড়ির সাথেই পশ্চিমে মৌজার সীমানা ও সৈয়দপুর পৌর এলাকা। এ মৌজার সীমানাই এলাকার লোকজনের চলাচলের রাস্তা। সম্প্রতি ওই রাস্তার বেশিরভাগ দখল করে ঘর তোলার উদ্যোগ নেন প্রতিবেশী জোবেদ আলীর ছেলে মো: মিঠু (২২)।

মমিনুল ইসলাম সাগর বলেন, ‘এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান নোটিশ দিয়ে ঘর তোলার কাজ বন্ধ করে দেন। চেয়ারম্যানকে আমি জানিয়েছি ভেবে মিঠু আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। পরের দিন মিঠুসহ কয়া কিসামতপাড়ার মৃত হেছা মামুদের ছেলে বেলাল হোসেন (৫০) ও তার ছেলে মো: নাঈম (২১) আমার পথ আটকিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এতে প্রতিবাদ করলে বেলাল ও নাঈম এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ ছাড়া মিঠু আমাকে জাপটে ধরে প্যান্টের বাম পকেট থেকে গরু কেনার এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা ফেরত চাইলে নাঈম তার পকেট থেকে ছুরি বের করে আমার পেটে আঘাত করেন। আমি প্রাণ বাঁচাতে সরে গেলে তিনি আবারো আমাকে মেরে ফেলতে আঘাত করতে চাইলে স্থনীয়রা বাধা দেয়। এতে আমি বেঁচে যাই। বাধাগ্রস্ত হয়ে তারা হুমকি দেয় যে সুযোগ পেলে আমাকে হত্যা করবেন নয়তো আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবেন।‘

তিনি আরো বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নামে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় প্রথম আসামি জোবেদ আলীর ছেলে মিঠুকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। পরে জামিনে বের হয়ে এসে তিনি এখন আবারো বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন। তা না হলে প্রাণে মেরে ফেলবেন বলেও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।

এ ছাড়া গত ৫ মার্চ মিঠু ও তার সহযোগীর প্ররোচণায় আরেক প্রতিবেশী মৃত উসমান খানের ছেলে সুলতান খানও রাস্তা দখল করে বেড়া দিয়েছেন। এতে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে পড়েছে। তারা গায়ের জোরে এমন অবৈধ ও অন্যায় কাজ করে উল্টা আমাকেই হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ফলে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনাতিপাত করছি।

এ বিষয়ে সুলতানের স্ত্রী বলেন, ‘তাদের দেয়া বেড়া আগে থেকেই রাস্তার ওপর ছিল।’ এটুকু বলেই তিনি অন্য দিকে চলে যান।

কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘যেহেতু রাস্তাটি আমার ইউনিয়ন ও পৌরসভার সীমানায় অবস্থিত এবং মামলার আসামি পৌর এলাকার বাসিন্দা। তাই পৌর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে এর সমাধান করতে হবে। কিন্তু নবনির্বাচিত পৌর পরিষদ শপথ নিয়ে দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত তা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে নোটিশ দিয়ে কাজ স্থগিত করেছি। কিন্তু তারা মারামারির ঘটনায় জড়ানোয় মামলা হয়েছে। এখন বিষয়টা আদালতেই সমাধান হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement