২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গণতন্ত্রের মানে হচ্ছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা : আলমগীর মহিউদ্দিন

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন - ছবি -নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেছেন, গণতন্ত্রের মানে হচ্ছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। আপনি যখন কোনো সাংবাদিককে ধরে নিচ্ছেন, গ্রেফতার করছেন, তার মানেই হচ্ছে আপনি গণতন্ত্র চান না। আপনি অত্যাচার, অনাচার করতে চান।

বুধবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) কর্তৃক আয়োজিত বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী'র নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নয়া দিগন্ত সম্পাদক বলেন, আপনারা জানেন আমরা সবাই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি। এদেশের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বারবার নেমেছে এবং জিতেছে। তাই আমি অনুরোধ করবো আপনারা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তবে সাংবাদিকদের নির্যাতন ও গ্রেফতার বন্ধ করুন এবং রুহুল আমিন গাজীকে মুক্তি দেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চলনায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রোকন,মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ,ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী , ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন, ডিইউজের সাবেক সহসভাপতি খুরশিদ আলম ও সৈয়দ আলী আসফার, আহমেদ মতিউর রহমান, আবু ইউসুফ, দিদারুল আলম, সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী, সাদ বিন রাবি, খন্দকার আলমগীর হোসাইন, আমিরুল ইসলাম অমর, আব্দুস সেলিম, জাকির হোসেন,জেসমিন জুঁই, আবু হানিফ, আসাদুজ্জামান আসাদসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতারা বক্তব্য দেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রোকন বলেন, ‘আমরা রুহুল আমিন গাজী-আবুল আসাদসহ সকল বন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি দাবি করছি। বাংলাদেশে যে জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম চলছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, সেই জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, নির্ভয়ে সাংবাদিকদের করার গ্যারান্টি ফিরিয়ে আনেত হবে।’

বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে কণ্ঠ রুদ্ধ করা হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগ সরকার ভিন্নমতের প্রকাশকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। সে জন্যই এই সরকার আতঙ্কিত। তিনি বলেন যারা দিনের ভোট আগের রাতে ব্যালটে পুরে ক্ষমতা দখল করেছে, তারাই রাষ্ট্রদ্রোহী। রুহুল আমিন গাজী দেশ স্বাধীন করেছে। জনগনের ভোটাধিকার,গণতন্ত্র ও মিডিয়ার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন।

কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, কথায় কথায় বিরুদ্ধ মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দিয়ে সরকার দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করতে একটি ঘৃন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকরা চরম সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। কথায় কথায় সাংবাদিক নির্যাতন, সংবাদমাধ্যম বন্ধ এমনকি সাংবাদিকদের হত্যা করা হচ্ছে। সাংবাদিক হত্যার কোনো বিচার হচ্ছেনা। সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত রিপোর্ট ৭৫ বার পেছানো হয়েছে। এতে এটিই প্রমান হয়, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রভাবশালী কেউ জড়িত।

তিনি বলেন, রুহুল আমিন গাজীকে রাষ্ট্রদ্রোহের বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের সমালোচক, প্রতিবাদী কলামিস্ট, বিবেকবান লেখক- বুদ্ধিজীবীদেরকে বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকার এক অশুভ বার্তা জানান দিল। তিনি বলেন, রুহুল আমিন গাজীকে মুক্তি দেয়া না হলে সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাও করবে।

এ সময় সাংবাদিক নেতারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন আখ্যায়িত করে তা বাতিল ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement