২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পছন্দের তালিকায় কুরবানির পশুর ভুড়ি

পছন্দের তালিকায় কুরবানির পশুর ভুড়ি - নয়া দিগন্ত

কুরবানির দিন কুরবানির পশুর ভুড়ি পরিষ্কার করার দৃশ্য গ্রামে হরহামেশাই চোখে পড়ে। অনেক এলাকায় এটি বট হিসেবে পরিচিত। অনেকেরই সারা বছরই কমবেশি ভুড়ি খাওয়া হলেও কুরবানির পশুর ভুড়িতে আলাদা একটা আকর্ষণ দেখা যায়।

সাধারণত কুরবানির পর তিন-চার দিন পর্যন্ত বাড়িতে গোশত থাকে। তাই গোশত রেখে ভুড়ি রান্না করা হয় না। আবার গ্রামের বাড়িতে পর্যাপ্ত ফ্রিজিং করার বসব্যস্থা না থাকায় গুরুত্বের বিবেচনায় ভুড়ি ফ্রিজে না রেখে ছোট কোনো পাতিলে অল্প পরিমাণে মসলা মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে রাখা হয়।

এছাড়া গ্রামে অধিকাংশ বাড়িতে এখনো ফ্রিজ নেই। তাই কুরবানির পশুর ভুড়ি সাধারণত জ্বাল দিয়েই রাখা হয়। বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বাল দিয়ে দিয়ে বেশ মজাদার একটা স্বাদ চলে আসে ভুড়িতে। তাছাড়া একাধারে কয়েকদিন ধরে গোশত খেয়ে গোশতের উপর অনেকটাই রুচি হারিয়ে বসি আমরা। এমন সময় কিছুটা নতুন স্বাদে ভুড়ি খেতে বেশ মজা এবং উপভোগ্য।

সবমিলিয়ে কুরবানির পশুর গোশতের সাথে ভুড়িও পছন্দের তালিকায় এগিয়ে। অনেকে তো আছে গোশত একটু কম হলেও সমস্যা নেই; ভুড়ির ভাগে কম নিতে নারাজ।

বাংলাদেশের গ্রামের ক্ষুদ্র অর্থনীতির মানুষেরা পাঁচ-সাত জন মিলে এক সাথে একটি গরু বা মহিশ কুরবানি করে থাকে। গোশত ভাগের সময় অনেক অংশিদারকে খুঁজে বের করার প্রয়োজন হলেও ভুড়ি পরিষ্কারের সময় কাউকে খোঁজ করতে হয় না। সবাই নিজের তাগিদেই অংশ নেয় ভুড়ি পরিষ্কারের কাজে। 

কুরবানির পশু কেনা থেকে শুরু করে কুরবানির দিন গরু জবাই করে গোশত ভাগ করে বাড়ি নেয়া পর্যন্ত তাদের বেশ অনন্দে কাটে। সবাই মিলে একসাথে হইহুল্লো করে সব কাজ করে থাকে তারা। গ্রামের সাধারণত এক-দেড় সপ্তাহ আগে কুরবানির পশু কেনা হয়। এরপর থেকে কুরবানির দিন পর্যন্ত গরুর খাওয়া, গোসলসহ সব ধরনের পরিচর্যায় বেশ আগ্রহ দেখা যায় গ্রামের মানুষের মধ্যে। কুরবানির গোশত আশপাশের গরিব মানুষ ও আত্মীয়দের মাঝে বিলিয়ে তারা সুখ অনুভব করেন।


আরো সংবাদ



premium cement