গফরগাঁওয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করে বাড়ি ফেরার পথে আটক
- গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা
- ২৮ নভেম্বর ২০২০, ০১:৩২
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে বর ও কনেসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বুলবুলের বাজার এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের পাকাটি গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে সোহেল মিয়ার সঙ্গে যশরা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসির বিয়ে হয়। কনে জান্নাতুল ফেরদৌসি স্থানীয় খোদাবক্সপুর ফাজিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। গোপনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে জান্নাতুল ফেরদৌসিকে নিয়ে রাতে বাড়ি যাচ্ছিল বরযাত্রীরা। ফেরা পথে রাস্তায় হঠাৎ দেখা হয় গফরগাঁও থানা পুলিশের সাথে। বিষয়টি সন্দেহ হলে কনে জান্নাতুল ফেরদৌসি,বর সোহেল মিয়া,বরের বাবা মোখলেছুর রহমান,বোন আকলিমা বেগম ও সাবিনা খাতুনসহ ৫ জনকে আটক করে গফরগাঁও থানা পুলিশ।
কনে জান্নাতুল ফেরদৌসি জানায়, সে যশরা খোদাবক্সপুর ফাজিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। করোনাভাইরাসের কারণে লেখাপড়া বন্ধ থাকায় বাবা তাকে বিয়ে দিয়ে ফেলেছে। বিয়েতে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে দুই লাখ টাকা যৌতুকের আলাপ আলোচনা হয়েছে।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা আক্তার জানান, যশরা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত ২০০৮ সালের জন্মনিবন্ধন সনদ দেখানোর পর বর ও কনেকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো কিছুই জানি না। এ ছাড়া আমি এ ধরনের কোনো জন্মসনদও দেইনি।
এ বিষয়ে গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা খাতুন জানান, উপজেলার রসুলপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতারের জন্য রাতে পুলিশি অভিযান ছিল। রাস্তায় গাড়ি দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। গাড়ি থামিয়ে দেখি একটি অল্পবয়সী মেয়েকে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে বরপক্ষরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা