১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ধনী দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে : ড. হাছান মাহমুদ

-

বিশ্বের তাপমাত্রা ক্রমাগতভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে ধনী দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ কমাতে উচ্চমাত্রার লক্ষ্য নির্ধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
‘কপ ২৪ জলবায়ু সম্মেলন : প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ড. হাছান বলেন, ‘কার্বন কমানোর যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, সব দেশ সেই প্রতিশ্রুতি পালন করলেও বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি হারে বেড়ে যাবে। এর পরেও প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে ধনী দেশগুলোর অস্পষ্ট ভূমিকায় আমরা হতাশ।’ তিনি এ অবস্থার পরিবর্তনে নাগরিক সমাজকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
পল্লী কর্মসহায়ক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদের সভাপতিত্বে ইক্যুইটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন একই প্রতিষ্ঠানের সৈয়দ আমিনুল হক।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এস এম মঞ্জুরুল হান্নান খান। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস আইনুন নিশাত, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আসন্ন কপ ২৪ জলবায়ু সম্মেলনে জাতীয় স্বার্থে দৃঢ় ভূমিকা পালনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অধিকার ভিত্তিক ১০টি নাগরিক সমাজ সংগঠন।
তারা সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য এ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতি বিপদাপন্ন দেশগুলোর অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশকে কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে উচ্চমাত্রার লক্ষ্য নির্ধারণের একটি আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করার জন্য জোরালো অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।

সভাপতির বক্তৃতায় ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, ‘আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনের সফলতা নিয়ে আসলে সন্দেহ আছে, কারণ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও নেপথ্যের অনেক রাজনীতি এর মূল নিয়ামক হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের তাই নিজস্ব সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে তৈরি হতে হবে, বাইরের সহায়তা আসলে ভালো।’
ড. আইনুন নিশাত বলেন, জলবায়ু আলোচনায় সরকারের অবস্থানে সুশীল সমাজ সংগঠনের মতামত প্রতিফলিত করতে হলে তাদের বক্তব্য শুনতে হবে। কোনো কারণে এ প্রক্রিয়াটি কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছে, সরকারি-বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সমন্বয়ের প্রক্রিয়াটি শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিতে হবে। আসন্ন কপে সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তার বিষয়টি তুলে ধরার জন্যও তিনি পরামর্শ দেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, আসন্ন কপ ২৪-এ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্যারিস রুল বুক গ্রহণ করা হবে, তাই এ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থ, প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে যথাযথ আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং সুবিধা যেন বাংলাদেশ পায় এই রুল বুকে তা অন্তর্ভুক্তির জন্য সম্মেলনে অংশ নেয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement