০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সংবাদ সম্মেলনে বায়রা সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট

মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ১০ এজেন্সি

মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ১০ এজেন্সি - ছবি - সংগৃহীত

দেশে ১ হাজার দুইশত এজেন্সি থাকলেও মাত্র ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছে বায়রা সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট। সংগঠনটি বলছে, প্রত্যেক রিক্রুটিং এজেন্সি সরকারকে ১৮ লাখ টাকা করে লাইসেন্স ফি দিয়ে আসলেও সিন্ডিকেটের কারণে তারা কাজ করতে পারছে না। ওই সিন্ডিকেট চক্রে রয়েছেন নূর আলী, এবিএম বদরুল আমিন, রুহুল আমিন (ক্যাথারসিস ইন্টা.), মোহাম্মদ বশির, গোলাম মোস্তফা, জয়নুল আবেদিন জাফর, আরিফ আলম, রুহুল আমিন (আমিন ট্যুর এন্ড ট্রাভেল), আরিফুল ইসলাম। ওই সিন্ডিকেট ভেঙে করে সকল রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফ্রন্টের সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান টেলিভিশনের কর্ণধার হারুন-অর-রশিদ, গোলাম ফারুক, রেদওয়ান খান বোরহান, মোস্তফা মাহমুদ, সিরাজ মিয়া প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ড. মোহাম্মদ ফারুক বলেন, এই সিন্ডিকেট বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে শ্রম বাজার নষ্ট করেছে। ২০১৬ সালে ১৫ লাখ জনশক্তি রপ্তানি করার কথা থাকলেও ২ লাখ ৭৪ হাজার জনশক্তি পাঠিয়েছে। কিন্তু ১২ লাখ লোকের মেডিকেল করেছিল। মেডিকেলও করা হয়েছিল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে। এছাড়া সিন্ডিকেটের কারণে জনপ্রতি বিদেশ যাবার খরচও বেশি পড়েছিল। বর্তমানে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। এই সিন্ডিকেট আবারও অপতৎপরতা শুরু করেছে যেন শ্রমবাজার খোলা হলে তারা সরকারকে ভুল বুঝিয়ে ফায়দা লুটতে পারে।

হারুন-অর-রশিদ বলেন, ১ হাজার দুইশত এজেন্সি সরকারকে ১৮ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা করছে। অথচ কাউকে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। কেউ খাবে কেউ খাবে না তা হবে না, তা হবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকল জায়গায় অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি শ্রমবাজারের এই সিন্ডিকেট ভাঙবে এবং আগামীতে সকল এজেন্সি কাজ করার সুযোগ পাবে।
রেদওয়ান খান বোরহান বলেন, লাইসেন্সের কোন শ্রেণী বিন্যাস নেই। অথচ কাউকে কাজ করতে দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, এই সিন্ডিকেট ভেঙে সকল রিক্রুটিং এজেন্সিতে কাজ করার সুযোগ দেয়া হোক।


আরো সংবাদ



premium cement