২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফাখরিজাদে হত্যাকাণ্ডে ইরানি জনগণ ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ : সিএনএন

- সংগৃহীত

মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদের হত্যাকাণ্ডের পর দেশটির জনগণের মধ্যে ‘ব্যাপক ক্ষোভ’ বিরাজ করছে। রাজধানী তেহরানের অদূরে দামাভান্দ এলাকায় গত শুক্রবারের ওই হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলের হাত থাকা নিয়ে যখন ব্যাপক জল্পনা চলছে তখন সিএনএন এই প্রতিবেদন প্রচার করল।

সিএনএনের সিনিয়র প্রতিবেদক ফ্রেডেরিক পেল্টন বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ইরানের প্রশাসনযন্ত্রের ক্ষোভের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে; তবে বাস্তবতা হচ্ছে, সাধারণ জনগণও তাদের পরমাণু বিজ্ঞানীর হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে।

ইরানের রাজধানী তেহরানে সিএনএনের দফতরে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন ফ্রেডেরিক পেল্টন। তিনি আরো বলেন, ইরানিরা ব্যাপকভাবে মনে করছেন, ফাখরিজাদে হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলের হাত রয়েছে এবং আমেরিকা, ইসরাইল ও মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কোনো কোনো মিত্রের সমন্বয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এই পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে।

ইরানের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ক সংস্থার চেয়ারম্যান মোহসেন ফাখরিজাদে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। তেহরানের অদূরে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্দ শহরের একটি সড়কে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ফাখরিজাদে’কে বহনকারী গাড়িতে হামলা চালায়।

একজন পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলের হাত থাকার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই।

কয়েক বছর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত করতে গিয়ে দাবি করেছিলেন, মোহসেন ফাখরিজাদে তার ভাষায় ইরানের ‘পরমাণু অস্ত্র তৈরির জনক।’ তিনি বলেন, “নামটি মনে রাখবেন। মোহসেন ফাখরিজাদে।” পার্সটুডে


আরো সংবাদ



premium cement