হামাসের সুরাক্ষা চোৗকিগুলো লক্ষ করে টানা সপ্তম রাতের মতো হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি যুদ্ধ বিমান। সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের আগুনের বেলুন হামলার প্রতিবাদে এ হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার মিশরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যখন সহিংসতা কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাটি করছেন তখন তারা ৭ম দিনের মতো এ হামলা করল।
গাজা উপত্যকায় হামাসের ভূগর্ভস্থ অবকাঠামোয় ইসরাইলের যুদ্ধবিমান হামলা চালিয়েছে বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে স্বীকার করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে বেলুনগুলো ইসরাইলের মধ্যে প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ ঘটায় ও ধ্বংসযোগ্য চালায়।
গাজার সুরক্ষা সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের এই হামলা এ অঞ্চলের দক্ষিণে রাফাহ ও উত্তরে বেট লাহিয়ায় হামাসের নজরদারি চৌকিতে করা হয়েছে।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উত্তেজনা বেড়ই চলেছে। হামাসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ডিভাইস লাগিয়ে বেলুন উড়িয়ে ইসরাইলে হামলা চালানোর অভিযোগ আসার পর থেকে উত্তেজনা বাড়ছে।
ইসরাইল কারিম আবু সালাম উপত্যকা দিয়ে গাজার সাথে পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। গাজা উপকূলে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়া সাত রাত ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে।
হামাসের একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরাইলের প্রতিনিধি ও পশ্চিত তীরবর্তী ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকরে আগে সোমবার গাজায় মিশরীয় দলটি হামলাকারী দলটির সাথে বৈঠক করেছে। এই আলোচনা গাজায় স্বস্তি ফিরবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা তাদের আগ্রাসন অব্যাহত রাখে এবং মধ্যরাতের পরে গাজায় বিমান হামলা চালায়। তবে এই অভিযানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে হামাস।
মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের সমর্থিত গত বছরের যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা বিক্ষিপ্তভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসরায়েল কোনো ধরনের সমঝোতা চুক্তিকে সম্মান দেখায় না বলে অভিযোগ করেছে হামাস। তবে গাজার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে ইসরাইল। এতে করে ফিলিস্তিনের বড় বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ভেঙে পড়া অর্থনীতি সচল হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা