রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীর সম্ভ্রমহানি (ধর্ষণ) ঘটনায় করা মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল আদালতে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার ভার্চুয়াল আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় মজনু কারাগারে ছিলেন।
এরআগে রোববার (১৬ আগস্ট) তিনি চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার চার্জ শুনানির দিন ধার্য করেন। ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর। মামলায় ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে সম্ভ্রমহানির পাশাপাশি তাকে নির্যাতন করেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। নির্যাতনের একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরে এলে তিনি সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যায়। পরে রাত ১২টার দিকে তার সহপাঠীরা তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে।
পরের দিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)। পরে ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব। ৯ জানুয়ারি সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে অনুমতি দেয় আদালত। ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মজনু। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। বাসস