১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


মধুমতিতে ২২ দিন সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ

মধুমতিতে ২২ দিন সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ - নয়া দিগন্ত

আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এসময় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষিদ্ধ সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সরকারি সহায়তার বরাদ্ধ দেওয়া হলেও এ উপজেলায় কোন সহায়তা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ আহরণে নদীতে কেউ নামলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন নদী নির্ভর প্রায় ৫০০ জেলে পরিবার । তারা সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, এ উপজেলায় নিবন্ধিত ১হাজার ৫৮৩জন জেলে রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৫০০ জেলে মধুমতি নদী থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

নদী নির্ভর জেলে বিপ্লব মালো, বিপুল মালোসহ কয়েকজন জানান, মধুমতী নদী থেকে আমরা মাছ আহরণ করে থাকি। নিষেধাজ্ঞার সময় নৌকাগুলো নিরাপদে রেখে জাল বাড়িতে নিয়ে যাই। এসময় বেকার হয়ে অলস সময় কাটাতে হয়। ইলিশ সম্পদ বাড়াতে ইলিশ ধরায় যে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে তা আমরা মানি এবং মানব। কিন্তু এই সময় আমাদের অনেক কষ্টে কাটাতে হয়। ছেলে মেয়ে নিয়ে অভাব-অনটনে থাকতে হয়।

লাকু মোল্যা নামে এক জেলে বলেন, আমরা সরকারি সহযোগিতা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। তাতে কোন কাজ হয়নি। সরকারিভাবে কোন সহযোগিতা পেলে আমাদের দুর্দশা কমে যেত।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌসি আক্তার জানান, নিষিদ্ধ সময়ে আমরা জেলেদের জাল ধরি, পুড়িয়ে দেই। যদি তাদের কিছু সহায়তা ব্যবস্থা থাকত তবে আমরা নিষেধাজ্ঞা আরো বেশি কার্যকর করতে পারতাম। অনেক জেলা ও উপজেলায় জেলেদের ৩০কেজি চাউলসহ বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আশিকুর রহমান জানান, মধুমতি নদী নির্ভর অন্য জেলার জেলেরা সরকারি সুযোগ সুবিধা পায় কিন্তু মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার লোকজন পায়না। এ উপজেলাকে ইলিশ জোনের আওতায় আনার জন্য বেশ কয়েকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনও অনুমোদন হয়নাই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement