২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বার্সায় মেসি আর নিজের গোপন অধ্যায় ফাঁস করলেন সুয়ারেজ

- ছবি : সংগৃহীত

এক প্রকার জোর করেই বলতে গেলে ক্লাব থেকে বের করে দেয়া হয়েছে সুয়ারেজকে। মেসির সঙ্গে যখন বার্সেলোনার দা কুমড়া সম্পর্ক, তখন ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি মেসেজ গিয়েছির সুয়ারেজের মোবাইলে; যার সারমর্ম, ‘তুমি রাস্তা দেখ।’

অনেক কষ্ট আর অপমান নিয়েই সুয়ারেজ পাড়ি জমিয়েছেন স্পেনের আরেক ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। সেখানেই বেশ ভালোই আছেন উরুগুয়েন এই স্ট্রাইকার। তবে এই ভালো থাকার মধ্যে স্মরণ করেছেন বন্ধু মেসিকে। যেখানে তিনি অনুভব করছেন মেসির মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা চাপা কষ্ট।

সুয়ারেজ কোন বিদায়ী সংবর্ধনা পাননি। অথচ কয়েকটি বছরে বার্সার হয়ে তার অবদান অনস্বীকার্য। আর তাই সুয়ারেজ যখন অ্যাটলেটিকোতে পাড়ি জমান, তখন ইনস্টাগ্রামে সুয়ারেজকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন মেসি।

যেখানে বার্সা সুপারস্টার উল্লেখ করেন, ‘তুমি (সুয়ারেজ) দারুণ একটা বিদায়ী সংবর্ধনা পাওয়ার উপযুক্ত ছিলে। তুমি ক্লাবের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। দলীয় কিংবা ব্যক্তিগতভাবে তোমার অবদান ছিল অনেক।’

মেসির এই পোস্ট আবেগি করে তুলেছিল সুয়ারেজকে। দেরিতে হলেও বন্ধুর প্রতি নিজের অনুরাগ প্রকাশ করেছেন তিনি। মেসির সঙ্গে বার্সা যা করেছে তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সুয়ারেজ বলেন, ‘বার্সা তোমার (মেসি) সঙ্গে যা করেছে তা তোমার প্রাপ্য নয়। তবে বাস্তব হলেও সত্য, বার্সার এমন কাণ্ড আমাকে বিস্মিত করছে না। মেসি যা করেছে তাতেও আমি বিস্মিত নই। কারণ আমি তাকে ভালোমতোই চিনি। আমি খুব ভালো করে বুঝি তার কী কষ্ট।’

বৃহস্পতিবার চিলির সঙ্গে ২-১ গোলে জয়ের পর এসব কথা বলেন সুয়ারেজ।

বার্সায় নিজের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে সুয়ারেজ বলেন, ‘সে (মেসি) মনে করে আমাকে জাস্ট কিক মেরে বের করে দেয়া হয়েছে। এক অর্থে তা ঠিকই। ছয়টি বছর আমি ন্যু ক্যাম্পে কাটিয়েছি। মেসিকে আমি বন্ধু হিসাবেই চিনেছি। সে জানত কতটা খারাপ সময় আমি পার করেছি সেখানে।’

‘আমার পরিবার আমাকে সুখে দেখতে চেয়েছে সব সময়। কিন্তু বার্সায় অনেক সময় অদ্ভুত জিনিস ঘটেছে। যা ছিল কষ্টকর। অনেক সময় একা অনুশীলন করেছি, একাদশে থাকব না বলে। সেই সব জিনিসগুলো আমাকে ভাবাতো। আমার পরিবারকেও প্রভাবিত করত। ফলে তারা (পরিবার) আমাকে উৎসাহ দিত সুযোগ লুফে নিতে। যখন অ্যাটলেটিকো আমার দিকে আগ্রহ দেখালো, আমি বিন্দুমাত্র ইতস্তত হইনি। বলা ভালো, আমি এখন অ্যাটলেটিকোতে বেশ ভালো আছি।’

৩৩ বছর বয়সী সুয়ারেজের অ্যাটলেটিকো অভিষেক বেশ ভালো হয়েছে। প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল ও একটি এসিস্ট করে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। ম্যাচের পর অ্যাটলেটিকো কোচ সিমিওনের প্রশংসা সুয়ারেজকে অনুপ্রাণিত করছে পুরোদমে, ‘সুয়ারেজ দুটি গোল করেছে এতে আমি বিস্মিত হইনি। তবে তার একটি দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট, তার দৌড়, মুভমেন্ট আমাকে রোমাঞ্চিত করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement