১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

শনাক্তে ১৫, মৃত্যুতে ২৯তম বাংলাদেশ

-

বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনার তাণ্ডব চলছে সাত মাসের বেশি সময় ধরে। প্রথমে এটি চীনে, পরে ইউরোপের কয়েকটি দেশে, তারও পরে আমেরিকাতে এটি কেন্দ্র বানায়। বর্তমানে একক কোনো স্থানে এটি কেন্দ্র বানিয়ে বসেনি, বরং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এর প্রকোপ চলছে। আমেরিকাতে চলছে, এশিয়াতে চলছে, আবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও পুনসংক্রমণ দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বর্তমানে করোনা রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫তম। ইতালিকে পেছনে ফেলে গতকাল বাংলাদেশ এ স্থানে ওঠে আসে। আর মৃত্যুর দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ২৯তম স্থানে। সুস্থতার দিক দিয়ে ১৬তম স্থানে বাংলাদেশের অবস্থান।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২ হাজার ৯৭৭ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫১ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৯ জন। করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ৩০৬ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক ডা: বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭.৬১ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ২ হাজার ৬০৬ জন এবং নারী ৭০০ জন।
বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জন, খুলনা বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী ৩ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং বরিশাল বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন এবং ময়মনসিংহে ১ জন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ জন এবং ৯ জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, অন্যান্য বয়সের ১০ জন রয়েছেন।
দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
কুমেক হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে ৭ জনের মৃত্যু
কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিন নারীসহ সাতজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনজন এবং আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চারজন। গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: মারজানা আক্তার এসব তথ্য জানান। এ পর্যন্ত মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৩০৮ জন।
উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেনÑ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৬০), কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হাযরত আলীর মেয়ে মারুফা (৩৮), বুড়িচং উপজেলার বাসত আলীর ছেলে আবদুল খালেক (৮৫), দেবিদ্বার উপজেলার লালু মিয়া (৭০), শাকপুর নরেন্দ্রপুর এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে আবদুল হালিম (৬৪), কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বেছু মিয়ার মেয়ে শাহিনা (৫১) এবং কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কাজী সামছুল হকের মেয়ে আইনুন নাহার (৬০)।
চুয়াডাঙ্গায় উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ২ জন পজিটিভ
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় ৩ দিনের সংগৃহীত ১৫৬টি নমুনার মধ্যে নতুন করে ৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫৯ জনে। আক্রান্ত ৭১ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৩৭ জন, আলমডাঙ্গার ১৯ জন, দামুড়হুদার দুইজন ও জীবননগরের ১৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫৯ জনে।
এ দিকে, গত ৩০ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলাতদিয়াড় একালার বাসিন্দা কাসেদ আলী মোল্লা (৭০) ও জীবননগর উপজেলার তারিনীবাস গ্রামের শিক্ষক নুরুল ইসলাম (৬০) করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। ওই দিন তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। গত বুধবার রাতে তাদের নমুনার ফলাফল পজিটিভ আসে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ জনে। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলায় এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৭৩ জন ও মৃত্যু ১৩ জন।
বগুড়ায় আরো ৩ জনের মৃত্যু
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় করোনাভাইরাসে সুবেদ আলী (৪২) ও সুফিয়া খাতুনসহ (৫৩) আরো তিনজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস। এ নিয়ে গত বুধবার পর্যন্ত জেলায় সরকারি হিসাবে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় ৫১ আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে বগুড়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১২৩ জন সুস্থ্য হওয়ায় মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩৭৭২ জন। বৃহস্পতিবার বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে ডা: ফারজানুল এ তথ্য জানান। এ দিকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বগুড়া সদরের সেউজগাড়ী এলাকা রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ এলকার লকডাউন কার্যকর করা হবে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে ২০ আগস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ ছাড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার লকডাউনের মেয়াদ ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে এবং কলোনি এলাকার লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গোয়ালন্দে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের মৃত্যু
রাজবাড়ী সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ইমাম চৌধুরী (৭৮) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজে জানাজা ও লাশ দাফন করা হয়। তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাসান ইমাম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস ও হৃদ রোগে ভুগছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে তার শরীরে করোনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। গত ২৩ জুলাই তাকে ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেয়া হয়। ২৬ জুলাই তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে তিনি করোনা ‘পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হন। এরপর থেকে তিনি ওই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উপসর্গ নিয়ে সামেক হাসপাতালে গৃহবধূর মৃত্যু
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সবিতা সরকার (৪৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাতে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে তিনি মারা যান। তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রামের চাঁদসী ডাক্তার রামপদ সরকারের স্ত্রী। সামেক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে ভর্তি হন সবিতা সরকার। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ৬ আগস্ট পর্যন্ত মারা গেছেন ৫৫ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ২২ জন।
বাজিতপুরে আরো ২ জন আক্রান্ত
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে নতুন করে দুইজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। গত বুধবার রাতে বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক ও রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ডা: তাহলিল হোসেন শাওন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ পর্যন্ত উপজেলায় সর্বমোট ১৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১৫৭ জন।
চট্টগ্রামে আরো ১২১ রোগী শনাক্ত
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৯৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ১২১ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ৭৪৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম নগরে করোনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ২৩৮ জন। গতকাল সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: শেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
ঝিনাইদহে ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলায় নতুন আরো ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ১৭ জন, মহেশপুরে পাঁচজন, শৈলকুপায় আটজন এবং কালিগঞ্জে ছয়জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০১৪ জনে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের করোনা সেলের মুখপাত্র ডা: প্রসেনজিত বিশ্বাস পার্থ এসব তথ্য জানান।
নীলফামারীতে নতুন ৯ জন শনাক্ত
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীতে নতুন করে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মণ জানান, এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৮০ জনে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রমতে, নতুন নয়জনের মধ্যে নীলফামারী সদর উপজেলায় চারজন, সৈয়দপুরে দুইজন, ডিমলায় একজন, জলঢাকায় একজন ও ডোমার উপজেলায় একজন।
সোনারগাঁওয়ে আক্রান্ত ৫ শ’ ছাড়িয়েছে
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ শ’ ছাড়িয়েছে। গতকাল চারজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে সোনারগাঁওয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০১ জন। এরমধ্যে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৫৭ জন, মারা গেছেন ২০ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার পলাশ কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করোনা আক্রান্ত
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা জানান, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত কয়েক দিন ধরে করোনার উপসর্গ জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। গত বুধবার তার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ খবর জানার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকা নেয়ার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার রাত ১২টায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মৌলভীবাজার রাডার ইউনিট থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঠাকুরগাঁওয়ে আক্রান্ত হলেন এমপি রমেশ চন্দ্র সেন
ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৩ আগস্ট তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাকে বর্তমানে নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার বাড়ির অন্য সদস্যরা সুস্থ আছেন।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন মাহফুজুর রহমান সরকার। এ ছাড়াও জেলায় নতুন করে আরো আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৩৭। আর মৃতের সংখ্যা আটজন।
রাজশাহী বিভাগে ১৭৯ জনের করোনা শনাক্ত
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগে এক দিনে ১৭৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ৪০৭ জন। গত বুধবার নমুনা পরীক্ষায় নতুন এসব কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন। একই দিন দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় ৪০৭ জনকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বুধবার বিভাগের বগুড়ায় জেলায় করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বিভাগে এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১৮৭ জন। এর মধ্যে বগুড়ায় সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহীতে ২৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আটজন, নওগাঁয় ১৪ জন, নাটোরে একজন, জয়পুরহাটে চারজন, সিরাজগঞ্জে ১১ জন এবং পাবনায় ৯ জন মারা গেছেন।
নোয়াখালীতে ৭৩ জন আক্রান্ত
নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩৫ জন। এ নিয়ে নোয়াখালী জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৩৪৬ জন, মৃত্যু ৬৬ জন ও সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৪২৪ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: মাসুম ইফতেখার।
দিনাজপুরে আক্রান্ত ৬৫, মৃত্যু ১
দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন আরো ৬৫ জন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯২৯ জনে। এ ছাড়া নতুন ৩১ জনসহ এ পর্যন্ত ১৩২৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা: মো: আব্দুল কুদ্দুছ এসব তথ্য জানান।
কুমিল্লায় আক্রান্ত ৪৮
কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লায় বৃহস্পতিবার নতুন করে ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৭২৭ জনের। জেলায় এ দিনে ৬৬ জনসহ সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ২৮১ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন অফিস এই তথ্য জানায়। জেলায় এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ১৪৯ জন।


আরো সংবাদ



premium cement