২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

টিকা নিয়েছেন পুতিনের মেয়ে, জানা গেল তার সর্বশেষ অবস্থা

- ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশে উদ্ভাবিত নতুন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তার একজন মেয়েকে দেয়া হয়েছে এবং তিনি সুস্থ আছেন।

পুতিন সচরাচর তার মেয়েদের কথা কখনই বলেন না। এটা খুবই বিরল একটা ঘটনা। প্রেসিডেন্ট পুতিন তার পরিবারের ব্যক্তিগত কথা খুবই সতর্কতার সাথে গোপন রাখেন। তিনি পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে খুবই সচেতন।

তিনি তার মেয়েদের জীবন সম্পর্কে কোন তথ্য জানাতে সবসময়ই অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এমনকি সংবাদ মাধ্যম যখন খবর দিয়েছে তার মেয়েদের নাম মারিয়া ভোরন্তসোভা এবং ক্যাটেরিনা টেখোনোভা তখন মেয়েদের এই নাম তাকে নিশ্চিত করতে বলায় সেটাও তিনি করতে অস্বীকার করেছেন।

তাহলে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির ব্যাপারে রাশিয়ার আজকের ঘোষণার সময় পুতিন মেয়ের কথা উল্লেখ করলেন কেন।

বলা হচ্ছে এই বিরল পদক্ষেপ তিনি নিয়েছেন রাশিয়ার ভ্যাকসিন গবেষণাকে সারা বিশ্ব যেভাবে সন্দেহের চোখে দেখছে, সেটা খণ্ডন করতে। তিনি সন্দেহপ্রবণ পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের বোঝাতে চেয়েছেন রাশিয়ায় তৈরি এই টিকা নিরাপদ এবং কার্যকর।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন টেলিভিশনে এই টিকার অনুমোদন নথিভুক্ত করার ঘোষণা দেন তখন তিনি বলেন, “এই টিকা সফলভাবে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী অ্যান্টিবডি তৈরি করতে এবং কোষের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পেরেছে এবং আমি এটা খুব ভাল করে জানি কারণ আমার একজন মেয়েকে এই টিকার ইনজেকশন দেয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “প্রথম ইনজেকশনের পর তার মেয়ের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০ ফারেনহাইট) হয়, কিন্তু তারপরই তা ৩৭ ডিগ্রিতে নেমে আসে। ব্যস আর কোন উপসর্গ হয়নি। দ্বিতীয়বার ইনজেকশনের পর তার তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছিল, কিন্তু তারপর সেটা নেমে যায় এবং সে খুবই সুস্থ বোধ করছে।”

রাশিয়ার ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ এর এই টিকা আজ অনুমোদন করেছে, যা নিয়ে মানবদেহের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে দুমাসের কম।

পুতিন দাবি করছেন, এটি বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা এবং সব ধরণের পরীক্ষায় এটি উত্তীর্ণ হয়েছে এবং তিনি চান, খুব শীঘ্রই গণহারে এই টিকার উৎপাদন শুরু হোক। বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল