১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`
স্থানাভাবে বগুড়ায় শিল্পের প্রসার হচ্ছে না

অবিলম্বে সমাধান করুন

-

একটি জাতীয় দৈনিকের বগুড়া প্রতিনিধির পাঠানো খবর, ‘জায়গার সঙ্কট নিয়ে চলছে বগুড়া বিসিক।’ শিল্পমালিকরা বগুড়াকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় বিসিক শিল্প এলাকা সম্প্রসারিত করতে দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানালেও তা পূরণ করা হয়নি। অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এখানে কিছু সম্ভাবনাময় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থাকার পরও স্থানাভাবে এ কাজ আজো আগায়নি।
প্রসঙ্গক্রমে জানানো হয়, ১৯৬৪ সালে অর্থাৎ ৫৭ বছর আগে বগুড়া শহরের ফুলবাড়িতে সাড়ে ১৪ একর জমিতে বিসিক শিল্পনগরী গড়ে ওঠে। ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটা ছিল নির্ধারিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই এখানে সব প্লট পূর্ণ হয়ে যায়। তবে চাহিদার দরুন ১৯৮০ সালে এই শিল্প এলাকার পরিসর বাড়ানো হয় ১৮.৬৭ একর। অবশ্য এক দশকে তার বরাদ্দও সম্পন্ন হয়ে যায়। অপর দিকে এর প্লট না পেয়ে শিল্প উদ্যোক্তাদের অনেকে আবাসিক এলাকাতে কারখানা প্রতিষ্ঠায় বাধ্য হয়েছেন। এমনকি কোনো কোনো আবাদি জমিতেও এটা গড়ে ওঠে। দিন দিন বাড়তে থাকে বিসিক শিল্পনগরীর স্থানসঙ্কট। এ অবস্থায় ২০১৬ সালে স্থানীয় জেলা প্রশাসন সাবগ্রাম এলাকার জায়গা দেখে সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব ঢাকায় পাঠায়। কিন্তু তা আর কার্যকর হলো না বিগত চার বছরেও।
আলোচ্য প্রতিবেদনে জানা গেছে, বগুড়া জেলায় আছে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যারা কৃষি যন্ত্রাংশ নির্মাতা। এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার বেকার কাজ পেতে পারেন। কিন্তু স্থানাভাবে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে বড় করা সম্ভব হচ্ছে না। বিসিক শিল্প মালিকরা বলেন, ‘বগুড়ায় ফাউন্ড্রি শিল্প রয়েছে যার দ্বারা পুরনো লোহা গলিয়ে কৃষিকাজের যন্ত্রাংশ বানানো হচ্ছে। তা ছাড়া ছোট বড় শিল্প কারখানায় উৎপাদনে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রাংশও এখানে তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বিসিক নগরীতে জায়গার অভাবে এসব শিল্পের প্রসার ঘটানো যাচ্ছে না। অবিলম্বে এ সঙ্কট দূর করা উচিত।
বগুড়ার বিসিক শিল্প মালিক সমিতি তাদের নানা সমস্যা তুলে ধরে বিশেষ করে স্থানাভাবের উল্লেখ করেছে। সমিতির সভাপতি দাবি জানান এ শিল্পনগরী সম্প্রসারণের। বগুড়ার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ জানায়, গোটা বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রাংশের ৮০ শতাংশের জোগান দেয় বগুড়াই। অপর দিকে সরকার বগুড়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থানাভাবের সমস্যা দূর করে তার কাজ দ্রুত শেষ করা দরকার। বিসিক কর্মকর্তারা বলেছেন, বিসিক শিল্প এলাকা উন্নয়নের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। বরাদ্দ ও অনুমতি পেলে এ কাজ শুরু করা যাবে।
বগুড়াকে দেশের উত্তরাঞ্চলের শুধু ‘প্রবেশদ্বার’ নয়, শিল্পনগরীও বলা হয়ে থাকে। সেখানে জায়গার অভাবে দীর্ঘ দিনেও শিল্পের কাক্সিক্ষত সম্প্রসারণ না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। অবিলম্বে এ সমস্যা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে সবার মতো আমরাও আশা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement