১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


নিজ কর্মীকে আহত করে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ফাঁসানো চেষ্টার অভিযোগ

-

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে নিজ কর্মীকে আহত করে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলামের কর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে।

গত শুক্রবার বিকেলের দিকে শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের সবুজহাটি মোরে কালুর চায়ের দোকানের সামনে নৌকা প্রতীকের এক সমর্থকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আদ্দি পাড়া কানাইনগর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে জুয়েল (২৮) আহত হন।

শান্ত নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আসরের আজানের আগে কালুর চায়ের দোকানে জুয়েল নৌকার লিফলেট হাতে নিয়ে চা খাচ্ছিল। এমন সময় ৩ জন মাস্ক পরা ছেলে দোকানে আসে। তখন জুয়েল ও ওই তিনজন ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি বেঁধে যায়। এ সময় জুয়েলকে দোকানের ভেতরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তারা চলে যায়।

আহত জুয়েল খালা সালমা বেগম বলেন, জুয়েলের মা ওকে দেড় বছর বয়সের রেখে মারা যায়। আমি ওকে মানুষ করেছি। কিন্তু ও এখন নেশা করে। ওর কোন ঠিক ঠিকানা নেই। যখন যা ইচ্ছা করে বেরায়। আমি হাসপাতালে ওকে দেখতে গেলে ও আমাকে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রর্থী তাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নির্বাচন কমিশনের দেয়া আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। অন্যদিকে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী বার বার আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি একবার নির্বাচন কমিশনের কাছে মুচলেকা দিয়েছের এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানাও দিয়েছেন। এখন আমার জনপ্রিয়তা দেখে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে আমার কর্মীদের হয়রানি করছেন।

শুক্রবার তার নিজের এক কর্মীকে নিজেরাই আহত করে আমার ১৫-২০ জন কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। এমতাবস্থায় আমি নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনকে অবগত করার পরেও প্রশাসন আমার কথায় কর্ণপাত করেনি। তাই আমার মনে সংশয় জেগেছে এই নির্বাচন হয়তো সুষ্ঠু হবে না। আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি।

আমি অনুরোধ করব নির্বাচন কমিশনকের ও স্থানিয় প্রশাসনকে আমি অনুরোধ করব আপনার উভয় পক্ষর জন্য সমস অবস্থান তৈরির ব্যবস্থা করেন যাতে মিথ্য হয়রানি মুলক অভিযোগ থেকে আমরা মুক্তি পাই।

নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলেটা তাজুলের কর্মী ছিল। এখন সে আমার লিফলেট বিলি করায় তার লোকজন তার উপর হামলা করেছে। হামলা তিনজন করেছে, কিন্তু আপনি ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন - এমন প্রশ্নে কোনো স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি তিনি।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement