২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরাজদিখানে নদীতে বিলীন ১০টি বসতবাড়ি ভাঙন আশঙ্কায় ৫০টি

চাঁদা তুলে কিছু বাঁশ দিয়ে নদী ভাঙন থেকে রক্ষার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এলাকার যুবক ছেলেরা - নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদীর পানি কমার সাথে সাথে নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। গত তিনদিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালী ডাকপাড়া গ্রামের প্রায় ১০টি বাড়ি। হুমকির মুখে রয়েছে আরো পঞ্চাশটি বাড়িসহ মসজিদ, সরকারি বিদ্যুৎ টাওয়ার, ঘাটলা এবং রাস্তা।

এতে নদী ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ আতঙ্ককের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব এলাকায় কোন ধরণের সাহায্য পাচ্ছেন না বলে ভাঙনকবলিত স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। অনেক পরিবার তড়িঘড়ি করে তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে দিশেহারা গোয়ালখালী ডাকপাড়া গ্রামের মানুষ। ঘরে পর্যাপ্ত খাবার নেই। প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ না থাকায় এলাকার যুবক ছেলেরা চাঁদা তুলে কিছু বাঁশ দিয়ে নদী ভাঙন থেকে রক্ষার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

ক্ষতিগ্রস্থরা বলেন, হঠাৎ নদীতে পানি কমে স্রোত বাড়ায় ভাঙনের মুখে পড়েছেন তারা। বসতভিটাসহ সবই নদীতে চলে গেছে। কিছুক্ষণ পর পর বড় বড় পাড় ভেঙে পড়ছে। প্রায় ১০টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে পুরো গ্রাম।

চিত্রকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল হুদা বাবুল বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। নদীতে পানি কমার সাথে সাথে তীব্র স্রোতের কারণে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০টির মত বাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে বলেছি। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। খুব দ্রুত প্রদক্ষেপ না নিলে শতাধিক বাড়িঘরসহ সরকারি সম্পদ নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার জানান, বিষয়টি আমি জেনে সাথে সাথেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে কর্মকর্তা এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা শুধু তাদের আশায়ই বসে নেই। আমরাও চেষ্টা করব এ অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে।


আরো সংবাদ



premium cement