২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনার মধ্যে কিস্তি আদায়ে গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠকর্মী

করোনার মধ্যে কিস্তি আদায়ে গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠকর্মী - ছবি : নয়া দিগন্ত

মাটিতে মাদুর পেতে কিস্তি আদায়ের জন্য বসে আছেন গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠকর্মী লুৎফর রহমান। পাশেই পাশবই আর কিস্তির টাকা নিয়ে হাজির ঋণী পারভীন আক্তার। সারাদেশে করোনাভাইরাস কারণে স্বামীর ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে বলে বোঝাতে পারছে না গ্রামীণ ব্যাংক কর্মীকে। ব্যাংক কর্মী টাকা আদায় করতে অনড়। চলছে তর্ক বিতর্ক।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঋণ গ্রহিতাদের মানসিক চাপ দিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করার খবর পাওয়া গেছে বিভিন্ন এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে।

গ্রামীণ ব্যাংকের দরগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক মো: মোস্তাফিজুর রহমান কাছে মুঠোফোনে করোনাভাইরাসের মধ্যে কেন কিস্তি আদায় করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা কিস্তি আদায় বন্ধ করতে কোনো নির্দেশনা পাইনি। প্রশাসন কিংবা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে কিস্তি আদায় সাময়িক বন্ধ করা হবে।

এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় এনজিওসহ সমবায় সমিতির কিস্তি (টাকা) আদায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশরাফুল আলম বলেন, করোনাভাইরাসে কাউকে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন, গ্রাহকদের নিকট থেকে বেসরকারি সংস্থাসহ (এনজিও) সমবায় সমিতির কিস্তি (টাকা) আদায় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এনজিও ও সমবায়কে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তবে ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কাঁচাবাজার, মুদি-মাছ ও ফলের দোকান খোলা থাকবে। সপ্তাহের সকল প্রকার হাট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চা, কফিসহ অন্যান্য দোকানে সর্বোচ্চ পাঁচ জনের বেশি লোক প্রবেশ করতে পারবে না।

হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রত্যেকের বাড়ির সামনে নির্দিষ্ট ব্যানার ঝুলানো থাকবে বলে জানান ইউএনও।


আরো সংবাদ



premium cement