২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান পর্ব ১২'

-

সাইত্রিশ.

খাওয়া সেরে বাড়ি যাবার প্রস্তাব দিলো সে। দিনের আলোয় সূত্র খুঁজবে। বোমা ছুড়েছিল যে লোকটা তার পরিচয় জানার চেষ্টা করবে। রাতের বেলা খুঁজেছে পুলিশ, কোনো সূত্র তাদের চোখে পড়েনি। অন্ধকারে চোখ এড়ানোটা স্বাভাবিক।
গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল দুজনে। সাতটা বাজার সামান্য পর বাড়িতে পৌঁছল। বোমা ফাটার খবর ইয়েলো বিচের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। ভোর না হতেই এসে হাজির হয়েছে প্রচুর কৌতূহলী দর্শক। ভিড় সরাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। দুই গোয়েন্দাকে দেখে এগিয়ে এলো একজন পুলিশ। হাত তুলে দেখাল, ‘ওখানে একটা ছেলে অপেক্ষা করছে তোমাদের জন্য, দেখা করতে চায়।’
ভিড়ের দিকে তাকাতে নেডের ওপর চোখ পড়ল রেজা-সুজার। পুলিশের সঙ্গে রাগত ভঙ্গিতে কথা কাটাকাটি করছে নেড। তাকে ঢুকতে দিতে বলছে।
নেডকে আসতে দিতে বলল রেজা। দৌড়ে এলো নেড। চোখ বড় বড়। কাছে এসে বলল, ‘এত সুন্দর বাড়িটার এই দুরবস্থা করেছে। সত্যিই খারাপ। সবাই ভালো আছিস তো তোরা? মিনাফুপু? মিস পেরিজ?’
হা হয়ে গেল রেজা-সুজা। নিচের চোয়াল ঝুলে পড়ল দুজনেরই। উত্তেজনায় ভুলেই গিয়েছিল পাখিটার কথা।
নেড মনে করিয়ে দেয়ার পর একটা মুহূর্ত আর দাঁড়াল না দুজনে। চরকির মতো পাক খেয়ে ঘুরে দৌড় দিলো সিঁড়ির দিকে। একেক লাফে দু’তিনটে করে সিঁড়ি ভেঙে উঠতে শুরু করল। পাখিটার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বড়ই ক্ষীণ। ওদের ঘরের দরজা হা হয়ে খোলা। ঘরের কোণে পড়ে থাকতে দেখল পাখির খাঁচাটা।
পাখিটা নেই ভিতরে!
চমকের প্রথম ধাক্কাটা কাটার পর সুজা বলল, ‘উড়ে যায়নি। যাওয়া সম্ভব না। খাঁচা থেকে ওকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
মাথা ঝাঁকাল রেজা। ‘সারাক্ষণ পুলিশ পাহারা ছিল। এত লোকজন। সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে নিল কীভাবে? শুনে দেখি, কারও চোখে কিছু পড়েছে কিনা।’ (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement