জলবায়ু অর্থায়নে বাজেটে জিডিপির ২ শতাংশ বরাদ্দের দাবি
- ২০ জুন ২০২২, ০১:২৪
টেকসই অর্থনীতির জন্য জলবায়ু অর্থায়নে জাতীয় বাজেটে জিডিপির ২ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। এ ছাড়াও জলবায়ু সক্ষমতা অর্জনে উপকূলীয় সুরক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নকে সরকারের অগ্রাধিকার বিনিয়োগ খাত হিসাবে বিবেচনা করার জন্যও তারা সরকারের কাছে সুপারিশ করেন। গতকাল রোববার ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ওপর রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-সিপিআরডি এবং কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ-সিডিপির যৌথ আয়োজিত এক সেমিনারে তারা এ দাবি জানান।
কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি। সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো: শামসুদ্দোহা, বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম বজলুর রহমান, সিএরআরএলের প্রদীপ কুমার রায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সুজাউল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ আমিনুল হক।
আমিনুল হক বলেন, ২০২২-২৩ জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অপ্রতুল। বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ৩০ হাজার ৫৩১ কোটি টাকার বরাদ্দ গতানুগতিক এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সরকারের প্রণীত পরিকল্পনার লক্ষ্যগুলো অর্জনে তা সক্ষম নয়। তিনি জলবায়ু অর্থায়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জিডিপির কমপক্ষে ২ শতাংশ বরাদ্দ ও বিনিয়োগ নিশ্চিত করা এবং উপকূল সুরক্ষা ও বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রমকে সরকারের অগ্রাধিকার বিনিয়োগ খাত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি বলেন, জলবায়ু তহবিলে অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ এবং সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নের সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই খাতে বরাদ্দ আরো বাড়ানো উচিত। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো উপকূল উন্নয়ন বিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় বা বোর্ডের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
শরীফ জামিল বলেন, বাজেটের মাধ্যমে কিছু পুঁজিবাদী মানুষের উন্নতি ঘটুক তা কাম্য নয়। পরিবেশকে বিবেচনায় না নিয়ে টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।
বজুলুর রহমান উপকূলের বিপদাপন্ন নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসঙ্কট মোকাবেলায় বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানান।
মো: সামসুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু বিপদাপন্ন অঞ্চলগুলোর মানুষের প্রকৃত চাহিদার ভিত্তিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা আবার পর্যালোচনা করতে হবে।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু তহবিল প্রকল্পের ব্যয়ের ওপর যথাযথ মনিটরিং আরো বৃদ্ধি করা উচিত। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা