২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মিরসরাইয়ে সর্বোচ্চ দামে ধান বিক্রি, হাঁসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

মিরসরাইয়ে সর্বোচ্চ দামে ধান বিক্রি, হাঁসি ফুটেছে কৃষকের মুখে - নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এবার আমন ধানের ভালো দাম পেয়েছেন চাষিরা। এবার সর্বোচ্চ দামে ধান বিক্রি করেছেন কৃষকেরা। এতে করে আগামীতে ধান চাষ আরো বাড়তে পারে বলে আশাবাদী উপজেলা কৃষি বিভাগ। ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে।

উপজেলার বড়দারোগাহাট, মিঠাছড়া, আবুতোরাব, বারইয়ারহাট, আবুরহাট, কমরআলী ও ছোটখাটো সব বাজারে আমন ধানের মণ বাজারে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায়। চিকন ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০০ টাকায়। চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এসব বাজার থেকে ধান ক্রয় করে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্নস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার কৃষক ইলিয়াছ জানান, তিনি এক একরে ১৩ মণ ধান পেয়েছেন, তুলনামূলক ভালো ফলন হয়েছে।

উপজেলার মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমনের ভালো ফলন হয়েছে এবার। বাজারে দাম বেশি আর শ্রমিক সঙ্কট না থাকায় কৃষকেরা খুব খুশি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে একই চিত্র।

আবুতোরাব বাজারে ধান বিক্রি করতে নিয়ে আসা চাষী বাহার মিয়া জানালেন, গত কয়েক বছর হাইব্রিড জাতের আগাম ধান চাষ করে লোকসান গুনেছে চাষীরা। গত বছর এই সময় আড়ি (১৬ কেজি) ধান ১৮০ ও ২০০ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারেনি। এবার প্রতি আড়ি ধান ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছে।

উপজেলার মিঠাছড়া বাজারে ট্রাক নিয়ে ধান ক্রয় করতে আসা ব্যবসায়ী আবু তাহের বলেন, আমি ধান ব্যবসা করছি প্রায় ২৮ বছর ধরে। কোনোদিন আমন ধানের এতো বেশি দাম হয়নি। এবার সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা পর্যন্ত মণ ক্রয় করেছি।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় ২০ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের আমনের আবাদ হয়েছে। এই পরিমাণ জমিতে ৮৯ হাজার ৪৮২ টন ধান ও ৫৯ হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে।

এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম বলেন, চাষীরা এবার ধানের ভালো দাম পাচ্ছে। কৃষকেরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পেলে ধানের আবাদ আরো বেড়ে যাবে, যা খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে।


আরো সংবাদ



premium cement