১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


তালিকায় সই না করেও বরখাস্ত!

তালিকায় সই না করেও বরখাস্ত! - সংগৃহীত

সরকারি নিয়মনীতি না মেনে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীর তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ও জেলা প্রশাসকের সুপারিশক্রমে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের ধারা অনুযায়ী তার স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়ে গত ২৮ মে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান কবির আহমেদের ছোট ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আল আমিন তার ফেসবুক টাইমলাইনে জানান, পাশের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে একটি মারামারির ঘটনায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কবির আহমেদ চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে। হাইকোর্ট বন্ধ থাকায় জামিন নিতে না পেরে নিজের নিরাপত্তার জন্য তিনি এলাকায় অনুপস্থিত। সে কারণে তিনি তালিকা তৈরি করতে পারেননি। তৈরি হওয়া তালিকায় চেয়ারম্যানের কোনো স্বাক্ষরও নেই।

চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যান তালিকায় স্বাক্ষর করেছেন। তালিকায় আমার ভাইয়ের নাম, স্ত্রী, সন্তান, ভাই ও বোন কারো নাম নেই। তারপরও কিভাবে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে তালিকায় দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা অবশ্যই মোকাবিলা করবো।

আল আমিন আরো বলেন, আমার ভাই হাজী কবির আহমেদ বীরগাঁও ইউনিয়নের দুবারের চেয়ারম্যান। তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। গত ১০ বছরে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে নুন্যতম অনিয়ম কিংবা আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ছিলো না। একজন সফল চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন পদকও পেয়েছেন। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে অর্থনৈতিকভাবে বিভিন্ন সময় আমাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও বীরগাঁও ইউনিয়নের মানুষের শান্তির লক্ষে শত বাধা বিপত্তি হামলা মামলায় ধৈর্য্য ধারণ করে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আমার ভাই নিজেকে উৎস্বর্গ করে রেখেছেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার (আপা) ২৫০০ টাকা বিতরণের তালিকায় বীরগাঁও ইউনিয়ন তাহের মেম্বার তার স্ত্রী ও কন্যার নাম এবং বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের আপন বড় ভাই, আলমগীর মেম্বার তার স্ত্রীর নাম দিয়েছেন। আর সাজানো অভিযোগের ভিত্তিতে আমার ভাইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এই পর্ব শেষ হলে, হাইকোর্টের বিষয় রয়েছে। অল্প করে শুধু বলবো, আইনের চোখে আমার ভাই অপরাধী না হয়েও যদি চেয়ারম্যান পদ না থাকে তাহলেও আমরা বিচলিত নয়। জনগণ চেয়েছিলো, তাই দুবার চেয়ারম্যান হয়েছেন। জনগণ যদি না চান তাহলে চেয়ারম্যান হবেন না। তবে যারা ভবিষ্যতে চেয়ারম্যান হবার স্বপ্ন দেখছেন এবং অপপ্রচার করছেন তারা নিশ্চিত জেনে রাখুন। আমরা রাজনীতি করি, জবাব রাজনৈতিক ভাবেই দিবো। চার বছর আগেও যারা চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে মামলা করে চেয়ারম্যান হয়ে গেছেন বলে অপপ্রচার করেছেন, মিষ্টি বিতরন করেছেন, মিথ্যে স্বপ্ন দেখেছেন, তাদের স্বপ্ন এবারও পূর্ণ হবে না ইনশাআল্লাহ।

 


আরো সংবাদ



premium cement