২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ফটিকছড়িতে বিলুপ্ত প্রজাতির বানর উদ্ধার

ফটিকছড়িতে বিলুপ্ত প্রজাতির বানর উদ্ধার - নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে একটি লজ্জাবতী বানর আটক করেছে এলাকাবাসী। বুধবার উপজেলার ভূজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়নের হেঁয়াকো এলাকা থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির এ বানরটিকে উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, হেঁয়াকো এলাকার পূর্ব সোনাই গ্রামে হঠাৎ লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বানরটি। প্রাণীটি স্থানীয়দের অপরিচিত বলে অনেকের মনে কৌতুহল জাগে। পরে গ্রামবাসীরা কৌশলে বানরটিকে আটক করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন বানরটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, এরা বেঙ্গল স্লো লরিস বা লজ্জাবতী বানর নামে পরিচিত। এ বানর দেখতে ছোট, নিশাচর ও চুপচাপ প্রজাতির একটি প্রাণী। তাদের এই লাজুক স্বভাবের কারণেই এদের নাম লজ্জাবতী বানর। আইইউসিএন এদের মহাবিপন্ন বানরের তালিকায় রেখেছে।

বন্যপ্রাণী গবেষকদের মতে, বন ধ্বংস ও বনে খাদ্যের অভাবের কারণে বন্যপ্রাণীরা মূলত লোকালয়ে চলে আসে। গহীন সবুজ বনের ভেতরে লম্বা গাছের মগ ডাল থেকে গাছের কচি পাতা, গাছের আটা, কষ, ছোট ছোট পোকামাকড়, ছোট পাখি ও বিভিন্ন প্রাণীদের ডিম এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে। তবে অন্য বানরের মতো এরা হাত দিয়ে খায় না। পাখির মতো সরাসরি মুখ লাগিয়ে খায়।

অন্যান্য বন্য প্রাণীর চেয়ে এরা বেশ ধীরে চলে। বিশেষ প্রয়োজন না হলে দিনে এরা চলাচল করে না। অন্য প্রজাতির বানরের চেয়ে এদের লেজও খুব ছোট। যা দূর থেকে তেমন একটা চোখে পড়ে না। এরা প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। লজ্জাবতী বানর বনাঞ্চল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পরাগায়নেও এদের ভূমিকা আছে।

আমাদের দেশে গত দুই দশকে লজ্জাবতী বানরের সংখ্যা কমে গেছে শুধুমাত্র আবাসস্থল ধ্বংস ও শিকারের কারণে। আন্তর্জাতিক চোরা বাজারে লজ্জাবতী বানরের অনেক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে সারা বিশ্বেই এরা হুমকির মুখে পড়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement