১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুমকিতে ডায়রিয়ায় ৪ জনের মৃত্যু, বেড ও স্যালাইন সঙ্কট

দুমকিতে ডায়রিয়ায় ৪ জনের মৃত্যু, বেড ও স্যালাইন সঙ্কট - ছবি- সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দুমকিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক শিশুসহ অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ দিকে ৩১ শয্যার উপজেলা হাসপাতালে বেড সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। একইসাথে কলেরা স্যালাইনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে উপজেলায়। স্যালাইন সঙ্কট দ্রুতই কেটে যাবে বলে আশা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রোববার সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে উপজেলায় দু’শতাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে হাসপাতালে। এখনো প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। এদের সামাল দিতে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন।

অপর দিকে হাসপাতালে ও বাইরে কলেরা স্যালাইনের মারাত্মক সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে রোগীর স্বজনসহ ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতাল বা বাইরের ফার্মেসিতেও কলেরা স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: শহীদুল হাসান শাহীন স্যালাইন সঙ্কটের
সত্যতা স্বীকার করে জানান, চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। দু-একদিনে সঙ্কট কেটে যাবে বলে আশা করছি।

এ দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া জলিশা গ্রামের আ: হক মুন্সী (৭০) রোববার দুপুরে মারা যান। এর আগে বৃহস্পতিবার ১১ মাস বয়সী আকিব খান নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া হাসপাতালের বাইরে পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে দু’শতাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এখন প্রতিদিনই গড়ে ২৫-৩০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এসব রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: শাকিরুজ্জামান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি অন্য রোগীদের পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেড সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement