জামায়াতে ইসলামী মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে : ড. মাসুদ

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে।’

বক্তব্য দিচ্ছেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ
বক্তব্য দিচ্ছেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ |নয়া দিগন্ত

নয়া দিগন্ত অনলাইন

‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে’ বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাউফল ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘মানবিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রথমে মানবিক মানুষ তৈরি করতে হবে’ জানিয়ে শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানুষ তৈরির কাজ করছে। সেজন্যই এখানে রয়েছে অসংখ্য নৈতিক ও মানবিক নেতৃত্ব। নৈতিকতার অভাবে মানুষ অপকর্মে লিপ্ত হয়। ফলে সমাজে অশান্তি বিরাজ করে। যার কারণেই আজ শিশু-কিশোরী বয়োবৃদ্ধ নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে মিষ্টি বিতরণ করার পরও আওয়ামী লীগ সরকারে থেকে সেই বিচার না করার কারণে সারাদেশে ধর্ষণের মতো ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। ধর্ষণের বিচার না করে তারা ধর্ষণ সমর্থন করে তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আওয়ামী লীগ।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্র-জনতা উই ওয়ান্ট জাস্টিস (ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার) দাবিতে জীবন ও রক্ত দিয়েছে। তাদের জীবন ও রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।’

ড. মাসুদ বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে মানুষের তৈরি আইনে বাংলাদেশ পরিচালিত হওয়ায় সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি, বৈষম্য দূর হয়নি। বরং বৈষম্য সৃষ্টি করে ক্ষমতাসীনরা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট, বিদেশে অর্থ পাচারে লিপ্ত ছিল। স্বজনপ্রীতি ও দলীয় বিবেচনায় কোনো অপরাধীর বিচার করেনি। এতে স্পষ্ট মানুষের তৈরি আইনে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি, হবে না।’

উপস্থিত বাউফলবাসীকে তিনি বলেন, ‘বিগত সময় বাউফল ছিল এক নেতা, এক দলের মুষ্ঠিতে। কারণ মানুষের তৈরি আইনে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে। আগামীতেও মানুষের তৈরি আইনের পক্ষে ভোট দিলে, জনগণ এক নেতা, এক দলের মুষ্ঠিতে বন্দী থাকতে হবে। তারা জনগণকে শোষণ করবে আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়ংকরভাবে। যার দৃশ্য ইতোমধ্যে সারাদেশে দেখা যাচ্ছে। তাই নতুন বাংলাদেশ কুরআনের আইনে পরিচালিত হলে মানুষ তার অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে ‘কাঙ্খিত বাউফল, প্রত্যাশিত নেতৃত্ব’- স্লোগানে বাউফলের প্রতিটি মানুষ এলাকার উন্নয়নে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে, রাখতে পারবে। রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবে বাউফলের সাড়ে ৪ লাখ জনসাধারণ।’

‘কোনো একক নেতৃত্ব বাউফলে প্রতিষ্ঠা হতে দেয়া হবে না’ বলেও হুশিয়ারী দেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

নুরে মোহাম্মদীয় (স.) হাফিজিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ লোকমান হাকীমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবীদ মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা শায়খ জামাল উদ্দিন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আনোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানে বাউফল ফাউন্ডেশনের সদস্যরা ছাড়াও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ও বাউফলের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)