রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শাহাবাগীদের বিচারের দাবিতে ‘শাহবাগবিরোধী ছাত্রঐক্য’ মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে মশাল মিছিল বের করে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’। এ সময় নিজেদের স্লোগানকে কেন্দ্র করে উভয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের পরিবহন চত্বর ও শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শাহবাগ বিরোধী ঐক্য মঞ্চের মিছিলে ‘শাহবাগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘বামদের ঠিকানা, এ ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘ছাত্রফ্রন্টের ঠিকানা, এ ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘শাহবাগীদের ঠিকানা, এ ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, শাহবাগীদের বিচার চাই’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এদিকে ‘একাত্তর হারেনি, হেরে গেছে হাসিনা’, ‘তুমি কে আমি কে, ৭১-২৪’, ‘চিহ্নিত রাজাকার, এ মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’সহ নানা স্লোগান দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।
এ সময় নিজেদের স্লোগানকে কেন্দ্র করে উভয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ
হয়।
শাহবাগবিরোধী ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্র থেকে সিদ্ধান্ত আসার পরেও যারা মেনে নেয় না এবং ২০১৩ সালে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শাহবাগে একটা মবতন্ত্র কায়েম করেছিল, তারা যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল সেটা ২০২৪-এ এসে বিশ হাজারেরও অধিক ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে ক্লোজ হয়েছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা আবার মিছিল করছে। এজন্য আমরা শাহবাগীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলাম। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে তারা পেছন থেকে মশাল নিয়ে হামলা চালায়।‘
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারের অবৈধ মুক্তির ঘোষণা বাতিলের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। এ সময় শাহাবাগী বিরোধী ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
আরবি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, ‘আমরা শাহবাগীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। সেই মিছিলে বামপন্থিরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে শাহবাগ বিরোধী মিছিলকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের কিছু ভাইকে আহত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে বামই যথেষ্ট।’