১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

মন্দিরের আগে রামের বিশাল মূর্তি অযোধ্যায়

মন্দিরের আগে রামের বিশাল মূর্তি অযোধ্যায় - ছবি : সংগৃহীত

সরযু নদীর প্রধান ঘাটের দক্ষিণ পার্শ্বে নির্মিত হতে চলেছে রামের বিশাল স্ট্যাচু। রামমন্দির নির্মাণের আগেই এই মেগা স্ট্যাচু তৈরি হয়ে যাবে। ২২১ মিটার উঁচু এই রাম স্ট্যাচু বহু দূর থেকেও যাতে দেখা যায় সেই পরিকল্পনাই করা হয়েছে। আর তাই যে বেদির উপর এই স্ট্যাচু নির্মিত হবে, সেটির উচ্চতাই হবে ৫০ মিটার। রামচন্দ্রের মাথার উপর যে ছত্রী থাকবে, সেটির উচ্চতা হবে ১২ মিটার।

রামমন্দির নির্মাণের আগেই যোগী সরকার ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই প্রথম প্রজেক্টটি রূপায়ণে। এই রামস্ট্যাচু ৩ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত গুজরাতের সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের স্ট্যাচুর থেকেও উঁচু হবে। ওই স্ট্যাচুর উচ্চতা ১৮২ মিটার। আর রামস্ট্যাচু হবে ২২১ মিটার। রামমূর্তি হবে ব্রোঞ্জের।

বলা বাহুল্য, স্ট্যাচু নির্মাণের প্রকল্পটি আগেই হাতে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার এক সপ্তাহ আগেই যোগী আদিত্যনাথের সরকার এই খাতে ৪৫০ কোটি রুপি বরাদ্দও করেছে। আজ কার্তিক পূর্ণিমা হয়ে গেলেই আগামীকাল উত্তরপ্রদেশ সরকারের পূর্ত বিভাগ ও আর্কিটেকচার দপ্তরের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হবে সরযু ঘাট। শুধু স্ট্যাচুই নয়, অযোধ্যায় রামরাজ্য নির্মাণের প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রামচন্দ্র, সীতা এবং লক্ষণের মিউজিয়ম। তৈরি হবে রাজপ্রাসাদ ও আর্ট গ্যালারি। সেই সঙ্গে রাজা দশরথের রাজপ্রাসাদ নতুন করে নির্মাণ করা হবে। হবে রাম উদ্যানও।

কিন্তু এত উঁচু মূর্তি নির্মাণ করার কারণ কী? অযোধ্যার বিজেপি বিধায়ক বেদপ্রকাশ গুপ্তা বললেন, বহু দূর থেকেই দর্শনার্থীরা যেন টের পান যে তারা ঢুকছেন রামচন্দ্রের রাজ্যে। তাই ফৈজাবাদ, আজমগড়, বস্তি অথবা লখনউ থেকে বাইপাস ধরে আসার পথেই দূর থেকে চোখে পড়বে রামচন্দ্রের মূর্তি।
পাশাপাশি ৩৫০ কোটি রুপি খরচ হবে অযোধ্যানগরীর সজ্জায়। রাজা দশরথ যেখানে পুত্রেষ্ঠি যজ্ঞ করেছিলেন সেই স্থানের নাম মখভূমি। ওই যজ্ঞের মাধ্যমেই রামচন্দ্রকে পুত্র হিসেবে পান তিনি। ওই যজ্ঞস্থলকে বিশেষ ভাবে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা হবে। সামগ্রিকভাবে এই গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে আগামী ৪ বছরের মধ্যে।

তিনি বলেছেন, অযোধ্যা নগরীকে পূর্বতন ঐতিহ্যে ফিরিয়ে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। এর আগে কোনো সরকার অযোধ্যার উন্নয়নের জন্য কোনো প্রয়াস চালাননি। যোগী সরকার অবশেষে সেই কাজে হাত দিয়েছে। তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ও চলে এসেছে। সুতরাং যেমন কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত ট্রাস্ট রামমন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এগবে, তেমনই যোগী সরকার অযোধ্যাকে রামরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলবে।

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আর বিলম্ব না করে মন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে ট্রাস্ট গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। সোমবারই হিন্দু ও মুসলিম ধর্মীয় গুরু ও আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি টেকনিক্যাল টিমও তৈরি করেছে। ওই টিম স্থির করবে রামমন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্টের কাঠামো কেমন হবে। তিন মাস সময় হাতে থাকলেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ট্রাস্ট গঠনের কাজ চলছে। রামমন্দির নিয়ে পরবর্তী কাজ ওই ট্রাস্টের।
সূত্র : বর্তমান


আরো সংবাদ



premium cement