২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বৃত্তের নৃত্য ও মদিনার তালাকনামা

-

‘হ-য-ব-র-ল’ অবস্থার মধ্য দিয়েই সম্প্রতি হয়ে গেল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশন যেসব গালগল্প শুনিয়েছিল, তাও ‘ভাঙা হাঁড়ির বাদ্য’ বলেই মনে হয়েছে। অনেক শঙ্কা-আশঙ্কার মধ্যেও বিএনপি অংশ নেয়ায় এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশনের উড়নচণ্ডী মনোভাবের কারণে তাও হয়ে ওঠেনি, বরং নির্বাচন ‘অতীত বৃত্তের নৃত্য’র মধ্যেই সীমাবদ্ধ। পদ্ধতিগত ব্যতিক্রম ছাড়া ভোটে ‘নয়-ছয়ে’ তেমন কোনো হেরফের হয়নি। নিকট অতীতে আমরা যেমন ‘নির্বাচনী রঙ্গমঞ্চ’ দেখেছি, এ নির্বাচনেও তার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি বরং কুশীলবদের আগের চেয়ে অধিক ‘করিৎকর্মা’ মনে হয়েছে। অতীতে ‘মিডনাইট’ ভোটের অভিযোগ থাকলেও এবার অবশ্য তা থেকে পরিত্রাণ মিলেছে। কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করা হয়েছে দিনের আলোতেই। এবারের প্রাপ্তিটা এতটুকুই।

মুখে যা-ই বলা হোক, সিটি নির্বাচন নিয়ে কমিশন যে ‘লেজেগোবরে’ অবস্থায় পড়েছে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কিন্তু ‘ভাসুরের নাম নিতে মানা’ বলে কমিশন তা প্রকাশ করতে পারেনি। অবশ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার খেদোক্তি করে বলেছেন, ‘নির্বাচনের এমন চিত্র আমরা দেখতে চাইনি’। নির্বাচন নিয়ে নিজের মূল্যায়নে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘ভোটের মাঠে একপক্ষ ছাড়া অন্যপক্ষকে দেখা যায়নি’। তার কথায় স্পষ্ট হয়েছে যে, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন ছিল একতরফা নির্বাচনের নামে মহড়া মাত্র। সাধারণ ভোটাররাও অভিযোগ করেছেন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ভোট দেয়ার সুযোগ তারা পাননি। উত্তর সিটির মেয়রপ্রার্থীর পক্ষে অভিযোগ করা হয়েছে যে, রিটার্নিং অফিসার বলেছেন, ‘প্রার্থীর অভিযোগ শোনার সময় নেই’। তবে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব কী- তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সর্বমহলে। তার এমন অনাকাক্সিক্ষত বক্তব্য পেশাগত অসদাচরণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দেশের নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন ঘটছে না বলে যে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে তা আরও জোরালো ভিত্তি পেয়েছে। ইভিএম নিয়ে যে ধরনের আশঙ্কা করা হয়েছিল, তাও যথারীতি প্রমাণিত। এবারের নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রেই রয়েছে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকার বিষয়টি। অনেক কেন্দ্রেই দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও ভোটার দেখা গেছে অল্প সংখ্যক। চোখে পড়েনি ভোটারদের লাইন। নির্বাচন নিয়ে বিবিসির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটারের অভাবে খাঁ খাঁ করছিল। কোনো কোনো কেন্দ্রে লম্বা সময় অপেক্ষা করে দুই-তিনজন করে ভোটার চোখে পড়েছে। কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের চেয়ে কর্মকর্তাদের সংখ্যা বেশি এমনটাই মনে হয়েছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে ৬ থেকে ৭ শতাংশ ভোট পড়লেও কিছু কেন্দ্রে এই হার ২ শতাংশেরও কম। যেসব কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে তার সংখ্যা ১২ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি নয়’। যদিও ‘সাক্ষী গোপাল’ নির্বাচন কমিশন এই সংখ্যা দেখিয়েছে ৩০ শতাংশের কাছাকাছি।

‘দুর্জনের ছলনার অভাব হয় না’। নির্বাচন কমিশনের ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, প্রার্থীরাই ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। অবশ্য তার সাথে একমত হতে পারেননি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম। তার ভাষায়, দেশে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে বলেই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রগুলোতে ঘিরে যে নিরাপত্তা ব্যূহ তৈরি করা হয়েছে, তা ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। তারা ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছিল। তাই ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিরাপদ মনে করেননি। সদ্য সমাপ্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এভাবে ‘নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে’ ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভোটকক্ষ, কেন্দ্রের ভেতরে এবং কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় বিশেষ প্রতীকের ব্যাজধারীদের একতরফা নিয়ন্ত্রণ সবার নজর কেড়েছে। অবশ্য সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভিন্নতর প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন, দেশে যে ধরনের নির্বাচনী সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তাতে ফলাফল তো পূর্বনির্ধারিত। আর ভোট দেয়া-না দেয়ার ওপর কোনো কিছুই নির্ভর করে না। সঙ্গত কারণেই তারা ভোট দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, তারা যেসব কেন্দ্রে ঘুরেছের তার কোনোটিতেই তারা বিরোধীদলীয় এজেন্ট দেখেননি। এগুলোর একটিতে বিরোধী এজেন্ট আসার পর কেন্দ্র থেকে তাকে বের করার দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাকি কেন্দ্রগুলোতে বিরোধী দলের এজেন্টদের প্রবেশই করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ভোটারদের অনেকে ইভিএমের মাধ্যমে দেয়া ভোটের স্বচ্ছতা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ফলে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ইভিএম নিয়ে সন্তুষ্টির পরিবর্তে ভোটারদের অভিযোগের কথাই বেশি শুনেছেন বিবিসির প্রতিনিধি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে নানাবিধ প্রশ্নে সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থার সূত্রপাত হয়েছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। তার ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে। আর সে ধারাবাহিকতায় রক্ষা করা হয়েছে সদস্য সমাপ্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচন দেশীয় আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতার সঙ্কট সৃষ্টি হলেও দশম সংসদ ইতোমধ্যেই মেয়াদ পূর্ণ করেছে। একাদশ সংসদের মেয়াদও ইতোমধ্যেই এক বছর পার করেছে।

মূলত একাদশ সংসদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুতর প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছিল। নির্বাচনের পর ওয়াশিংটন পোস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়, বাংলাদেশে বিপুল ব্যবধানে একটি রাজনৈতিক দল জয়লাভ করেছে। বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পার্থক্যসূচক এমন চিত্র উত্তর কোরিয়ার মতো দেশে আশা করা যায়, বাংলাদেশের মতো গণতান্ত্রিক দেশে নয়।... ভোট গ্রহণের দিন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। নির্বাচনের অনেক আগেই মাঠ দখলে নিয়ে নেয় ক্ষমতাসীনরা। টাইম ম্যাগাজিনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের ওপর দমন-পীড়ন চলেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের বাধা দেয়ার প্রমাণাদি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক মতামতধর্মী নিবন্ধে এই নির্বাচনকে ‘বিতর্কিত’ অভিহিত করে বলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একটি ‘নতুন ও বিপজ্জনক’ যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। সিএনএন বলছে, বিরোধীদের ‘ক্রুদ্ধ’ হওয়ার সব কারণই রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিভিন্ন দিক থেকেই বিতর্কিত হয়েছে। ‘রাতের ভোট’ হিসেবে চিহ্নিত এই নির্বাচনে অনেকগুলো কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ১৯৭টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। ওই নির্বাচনটা যে আসলে কেমন হয়েছে তার প্রতিচ্ছবি অনেকটা পরিষ্কার হয় এই শতভাগ ভোট পড়ার ঘটনায়। মূলত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রেও দেশের মানুষকে অনাগ্রহী ও সংশয়াচ্ছন্ন করে তুলেছে। যার বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে।

সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল, বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ব্যাপক জাল ভোট, বেশ কিছু জায়গায় ভোটারদের ভোট দিতে বাধা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে নানা জটিলতার ঘটনা ঘটেছে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের অংশ বিশেষ হলো- ‘ভোটার যন্ত্রে আঙুলের ছাপ দেয়ার পর ব্যালট উন্মুক্ত হলো। কাপড় দিয়ে ঘেরা গোপন কক্ষে ভোট সম্পন্ন করতে গেলেন। এ সময় কোন মার্কায় ভোট দিয়েছেন, তা উঁকি দিয়ে প্রত্যক্ষ করছেন অবাঞ্ছিত ব্যক্তিরা। ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে দেখলেন, সেখানে থাকা অবাঞ্ছিত ব্যক্তি তার ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। ভোটার গোপন কক্ষে প্রবেশ করার পর কোন মার্কায় ভোট দিতে হবে, তা বলে দিচ্ছেন অবাঞ্ছিত ব্যক্তি। বেশির ভাগ ভোট কক্ষের দৃশ্য ছিল এমনই’।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভোটকেন্দ্রগুলোর যে দৃশ্য প্রচারিত হয়েছে, তাতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, জনগণ ভোট দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। গত ১১ বছর যাবত নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন জনগণের সাথে যে বালখিল্যতায় লিপ্ত হয়েছে, তাতে জনগণের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে আর কোনো আগ্রহ নেই। সরকার পক্ষের দাবি, বর্তমান সরকারের অধীনে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় জনগণ ভোট দেয়ার প্রয়োজনবোধ করছে না। যদি তাই হয়, তাহলে উন্নত বিশে^র জনগণ ব্যাপকভাবে ভোট প্রদান করত না। নির্বাচন নিয়ে সরকারি দলের বক্তব্যকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা বলেই মনে করছে আত্মসচেতন মানুষ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শতভাগ ভোট পড়ার রেকর্ড থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়ার হার উত্তরে ২৫ দশমিক ৩০ এবং দক্ষিণে ২৯ শতাংশ। অতীতের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় এবার কম সংখ্যক ভোটারের সমর্থন নিয়ে মেয়রের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে নবনির্বাচিত দুই মেয়রকে। ভোটের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ক্রমেই ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমছে। যা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য মোটেই ইতিবাচক নয়। এ কথা অবলীলায় স্বীকার করে নিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কিন্তু তারা দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পরও এমনটা কেন হলো তার কোনো ব্যাখ্যা তিনি দেননি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে নির্বাচনের প্রতি এক ধরনের অনাগ্রহ ও অনাস্থা সৃষ্টি হতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিভিন্ন নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও জবরদখলের ঘটনায় নির্বাচনব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা প্রায় শূন্যের কোটায়। মূলত মানুষ চলমান নেতিবাচক রাজনীতি ও গণতন্ত্রের নামে আত্মপ্রতারণাকে প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করেনে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের গণঅনুপস্থিতি সে কথাই প্রমাণ করে।

আসলে প্রচলিত নির্বাচন ব্যবস্থাকে জনগণ ইতোমধ্যেই ‘তালাক’ দিতে শুরু করেছে। কিন্তু ক্ষমতার মোহে মদমত্তরা তা উপলব্ধিই করতে পারছেন না। যেমন উপলব্ধি করতে পারেননি ‘ময়মনসিংহ গীতিকা’র মনসুর বয়াতি রচিত ‘দেওয়ানা মদিনা’ পালার আখ্যান চরিত্র ‘মদিনা সুন্দরী’। দেয়ার পুত্র তালাক দেয়ার পর তার অভিব্যক্তি-
‘তালাকনামা পাইল যখন মদিনা সুন্দরী
হাসিয়া উড়াইয়া দিলো বিশ্বাস না করি
খসম মোর না ছাড়িব পরান থাকিতে
চালাকি করিল মোর পরখ করিতে’।।
মদিনা সুন্দরীর সরল বিশ্বাসের জন্য তাকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি যত দ্রুত উপলব্ধি করবেন ততই মঙ্গল।

smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement