২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ওইরে দুদক, হায়রে দুদক

চলতে ফিরতে দেখা
-

দুদকের কাণ্ডকীর্তি নিয়ে প্রতিনিয়তই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এর কর্মপরিধি। যে লক্ষ্যে দুদক গঠিত হয়েছিল, কিছু কর্মকর্তার কারণে সে লক্ষ্য, সে আশা অনেকটা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। আশা করা হয়েছিল, দুদক সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে, ন্যায়সঙ্গতভাবে, সুবিবেচনাপ্রসূতভাবে দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে কাজ করে যাবে। সে আশা ক্রমেই দুরাশায় পরিণত হয়েছে। দুদক যেন প্রধানত সরকারবিরোধীদের দমনে আরেকটি হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। লক্ষ করা গেছে, সরকার যা কিছু চায় না, দুদক সে দিকটা মাড়ায় না। আর সরকার যদি চায় অমনি দুদক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
দুদক তেমন কাজ করেছিল ‘বালিশ কাণ্ড’ নিয়ে। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বাসস্থানের কাঁথা-বালিশ, টেবিল-চেয়ার কিনতে গিয়ে সেখানে এক মহাদুর্নীতি সংঘটিত হয়। প্রকল্প পরিচালকের বেতন ধরা হলো সাত লাখ টাকা। ড্রাইভার ও মালিদের বেতনও লাখ টাকার কাছে। একটা বালিশের দাম ধরা হয়েছে ছয় হাজার টাকা। আবার বালিশটি ভবনের নিচ থেকে উপরে তুলতে ব্যয় দেখানো হয় প্রতিটি ৬০০ টাকা। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই এমন কাণ্ড করেছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। কাজটি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে। সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম নানা ধরনের উক্তি করেছেন। বলেছেন, এ ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ দুদককে যখন প্রশ্ন করা হলো, এতবড় দুর্নীতি আপনারা ধরলেন না কেন? তখন দুদক অতি নিরীহ সেজে বলল, সরকারেরই আরেকটি এজেন্সি তদন্ত করছে। দেখা যাক কী হয়!
সরকারি এজেন্সি তদন্ত করছে, তাতে দুদকের কী? দুদক নিজের মতো করে তদন্তে নেমে পড়তে পারত। কিন্তু দুদকের প্রধান সে দিকে আর অগ্রসরই হলেন না। এ দিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্তে কী ফল বের হয়ে এসেছে, তা এখনো সবার অজানা। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলে বসলেন, ‘যে প্রকৌশলীর হাত দিয়ে এই দুর্নীতি ঘটেছে, তাকে তো সরিয়ে দেয়া হয়েছে। সে নাকি ছাত্রজীবনে ছাত্রদল করত।’ বিষয়টি এতটাই অনিশ্চিত যে, প্রধানমন্ত্রীকেও ‘নাকি’ বলতে হলো। অর্থাৎ পুরো খবর না নিয়েই ঝটপট তিনি ওই দুর্নীতির দায় ছাত্রদল তথা বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ কিংবা এত বড় দুর্নীতি করার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি। তাহলে এই বক্তব্যের সত্যতা কতটা? বিষয়টি অনেকটা এমন যেন, ‘লিখে দিলাম কলা পাতে, ঘোরো গিয়ে পথে পথে’।
এভাবেই চলছে। কিছু দিন আগে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের অর্থ বেড়েছে। এ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞরা বললেন, এ টাকা কালো টাকা। এটা দুর্নীতির টাকা। এ টাকা আত্মসাতের টাকা। এটা যে দুর্নীতির টাকা, তা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কোনো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের প্রয়োজন পড়ে না। আর বাংলাদেশ সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। যে দিকে তাকানো যায়, সে দিকেই দুর্নীতি। যেন দুর্নীতির জাতীয়করণ হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একেবারেই উল্টো কথা বললেন। বললেন, এই টাকা মনোনয়ন বাণিজ্যের। আমরা সবাই জানি, সব কিছুতে বিএনপিকে দোষারোপ করে তারা আনন্দ পান। মনোনয়ন বাণিজ্যের কথা ৩০ ডিসেম্বরের বেশ আগে থেকেই তারা বলতে শুরু করেছিলেন। তাতে বক্তব্যটা ছিল, ৩০ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে তারেক রহমান বিএনপি প্রার্থীদের কাছ থেকে ‘শত শত কোটি টাকা’ নিয়েছেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, সে টাকা তিনি সুইস ব্যাংকে রেখেছেন। অথচ মনোনয়নবঞ্চিত মাত্র দুইজন প্রার্থীর ক্ষোভ ছাড়া কোনো ধরনের ঘটনা ঘটেনি। প্রার্থীদের তরফ থেকে বাণিজ্যের অভিযোগ করা হয়নি। বরং আওয়ামী লীগ ও তার দোসর জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ করা হয়েছিল এবং তা নিয়ে বিবাদ-বিসম্বাদও ঘটেছিল। সে কারণে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে পরিবর্তন পর্যন্ত আনা হয়। সরকারপ্রধান মনোনয়ন বাণিজ্য কোথায় পেলেন বোঝা ভার। তিনি সুযোগ পেলেই বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি করেছেন। কিন্তু তার আগের সামরিক সরকার এবং তার সরকার মিলে এ পর্যন্ত সেরকম দুর্নীতির কোনো প্রমাণ তুলে ধরতে পারেনি। কিন্তু ‘শিবের গীত’ তারা গেয়েই যাচ্ছেন।
দুদক যে কত বড় দায়িত্বহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, তার প্রমাণ আছে ‘জাহালম কাণ্ডে’। জুটমিলের কর্মচারী টাঙ্গাইলের জাহালম কোনো ব্যাংক ঋণ নেননি। এ ঋণ কিভাবে নিতে হয়, সে বিষয়ে তার কোনো সাধারণ জ্ঞানও নেই। কিন্তু খোদ দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে এই জাহালম বিনা দোষে তিন বছর জেল খেটেছেন। আদালত যখন জাহালমকে মুক্তি দিলেন, তখন দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে আপিল করেছিল। আপিল বিভাগ এ রকম দায়িত্বহীন কাজের জন্য দুদককে ধমকে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের তদন্ত কমিশন জানাল যে, তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ভুলেই এবং তাদের দায়িত্বহীনতার জন্যই জাহালমকে জেল খাটতে হয়েছে এবং এবারো আশ্চর্য ঘটনাটি ঘটেছে। যে কর্মকর্তারা তদন্ত করে বের করলেন যে, দুর্নীতি দমন কমিশনের ভুল ও দায়িত্বহীনতার জন্য জাহালম জেল খেটেছে, তারা কেউই ওর বাড়িতে তার সাথে কথা বলতে যাননি। ভাবটা এমন, গরিব পাটকল কর্মচারী, তার সঙ্গে আবার কথা কী? তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এর জন্য ব্যাংক কর্মকর্তারাও দায়ী। নিজেদের বোঝা, খানিকটা ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া ছাড়া এর আর কোনো হেতু থাকতে পারে না।
এরপর, প্রতিদিন ‘বালিশ কাণ্ড’ ঘটছে। গত বুধবার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে মাত্র ১৩০ টাকার জিনিস কেনা হয়েছে ৪০০০ টাকায়। এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে সাত কোটি টাকার কাজ দেয়া হয়েছে, যাদের কোনো কার্যালয় পর্যন্ত নেই। আছে শুধু টেলিফোন নম্বর। কোনো কোনো পণ্য কেনা হয়েছে, প্রায় ৫০ গুণ বেশি দামে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসা সরঞ্জাম বাবদ কেনাকাটায় হয়েছে পুকুরচুরি। ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৩০ টাকার বাজারমূল্যের ক্যাথার মাউন্ট কেনা হয়েছে ৪০০০ টাকা করে। ৬৫ হাজার টাকার পণ্য কেনা হয়েছে ২০ লাখ টাকা দিয়ে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এনএইচআর সামগ্রীর মূল্য তালিকায় এর দাম ৬৬ টাকা। সে অনুযায়ী, ৩৩ হাজার টাকার পণ্য কেনা হয়েছে ২০ লাখ টাকায়। ৪০০০ টাকা করে কেনা এইচএমই ফিল্টার বাজারে বিক্রি হয় ১৪০ টাকায়। এ ক্ষেত্রে ৭০ হাজার টাকার সামগ্রী কেনা হয়েছে ২০ লাখ টাকায়। ২০০টি সিভিপি মনোমিটার কেনা হয়েছে ৯৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। ২১৮ টাকার পণ্যের দাম হয়ে গেছে পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা। হ্যালো, দুদক, আপনারা কোথায়?
নিশ্চয়ই সরকারের কোনো চাঁই এই কেনাকাটার দায়িত্বে আছেন। এখন পর্যন্ত কেউ আওয়াজ দেননি। ধারণা করি, হয়তো আওয়াজ দিয়ে বলবেন, ওই কেনাকাটার পেছনে আছে বিএনপির কোনো লোক কিংবা ছাত্রদলের সাবেক কোনো নেতা। দুদক চুপ। এর মধ্যে বেরিয়েছে পানি নিষ্কাশন খরচের খবর। বাংলাদেশে সড়ক, মহাসড়, ফ্লাইওভার নির্মাণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। আজব কাণ্ড। প্রতি কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় এক কোটি ৪০ লাখ টাকা। সেখানে পানি নিষ্কাশন অবকাঠামোতে খরচ পাঁচ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এটাও এক বিরাট দুর্র্নীতি। এসব প্রকল্পের ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে সরকারপ্রধান কিভাবে জাস্টিফাই করেছেন? সিটি গভর্নেন্স প্রকল্পে অর্থ জোগান দিচ্ছে ‘জাইকা’। দুই হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ২০২০ সালের জুনে। কিন্তু কাজ হয়েছে, মাত্র ৫০ শতাংশ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সময় যদি বাড়ে, সময় মতো যদি কাজ শেষ না হয়, তাহলে প্রকল্প ব্যয় তো বাড়বেই। জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে।’ কিন্তু প্রকল্পের সেই ব্যয় বৃদ্ধির দায় তো সরকারের নেয়ার কথা নয়। যারা কন্ট্রাক্ট নিয়েছে, সে ব্যয়ভার তাদেরই বহন করার কথা। কিন্তু আমরা বড় বেশি উদার। সে ব্যয় নিজেরাই বহন করছি। হ্যালো, দুদক, আপনারা কোথায়?
তবে না, দুদক কাজ করছে নাÑ এমন কথা বলা যাবে না। সরকার যেটা চায়, সে বিষয়ে দুদক ভীষণ তৎপর। এর যৌক্তিকতা, অযৌক্তিকতা নিয়ে দুদক কোনো প্রশ্ন করে না। এখন বিচার বিভাগ বিভিন্ন বিষয়ে নানা ধরনের রুল ইস্যু করছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে জবাবদিহিতা চাইছেন। ঠিক সে সময়, দুদক নিজেরাই নাকি সরকারের নির্দেশে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করে বসেছে। সরকার-সমর্থক পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে, ‘ভুয়া ঋণের চার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ/এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের অর্থ আত্মসাতের মামলা।’ রিপোর্টটি পড়ে মনে হয়, সেটিও নির্দেশিত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে ফারমার ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে গত বুধবাব দুদক কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।
আমরা সবাই জানি, এস কে সিনহা সরকারের সব অন্যায় নির্দেশ মেনে নিতে রাজি হননি। তিনি বিচার বিভাগকে প্রশাসন বিভাগ থেকে আলাদা করতে চেয়েছিলেন। সরকার সেটা চায়নি। সরকার চেয়েছিল, নি¤œ আদালতের কর্তৃত্ব সরকারের প্রশাসন বিভাগের হাতেই থাকবে। সিনহা এতে রাজি হননি। তবে এ কথাও সত্য যে, বিচারপতি সিনহা সরকারের অনেক অযৌক্তিক দাবির কাছেও মাথানত করেছেন।
সিনহার বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়, অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধজনিত বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার মাধ্যমে ফারমার ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সাথে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে এস কে সিনহার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। পরে তিনি তার ব্যক্তিগত হিসাব থেকে নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য হিসাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও আত্মসাৎ করতে নিজেদের ভোগদখলের জন্য পাচার বা পাচারের প্রচেষ্টায় সঙ্ঘবদ্ধভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
ঘটনার বিবরণে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আসামি মোহাম্মদ শাজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ফারমার ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান ব্যাংক শাখা থেকে আলাদা ছয়টি চলতি হিসাব খোলেন। এর পরদিন দু’টি চলতি অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য দুই কোটি টাকা করে চার কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন। ফারমার ব্যাংক দ্রুততার সাথে সে ঋণের অনুমোদন দেয়।
এ কথা আগেই জানা গেছে যে, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ওই ব্যক্তিদের কাছে চার কোটি টাকায় তার বসতবাড়ি বিক্রি করে দেন। ক্রেতা বাড়ি কেনার টাকা কোথা থেকে, কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করবেন বা করেছেন সেটি এস কে সিনহার জানার কথা নয়। তিনি যে বাড়ি বিক্রি করেছেন, সেটি বাংলাদেশ থেকে তাকে বহিষ্কারের সময়ই প্রকাশিত হয়। বাড়ি বিক্রি করেছেন এবং নিজের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রেখেছেন। দোষটা কোথায়? দুদক যে লাফিয়ে পড়ে মামলা করে বসল, তার যৌক্তিকতা কী?
আসলে সরকার সম্ভবত চেয়েছে বিচার বিভাগকে একটি সতর্কবার্তা দিতে যাতে তারা যথেচ্ছ স্বাধীন না হয়ে ওঠে। আর দুদক যেন সরকারের সেই অসৎ উদ্দেশ্যের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। অতএব, জনগণ সাবধান। হ
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল