২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাষ্ট্র, সুশাসন ও প্রশাসন

-

রাষ্ট্র বিজ্ঞানের পরিভাষায় রাষ্ট্রের অঙ্গ তিনটি। নির্বাহী তথা শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। নির্বাহী বিভাগের মূল কাজ আইন অনুযায়ী শাসনকাজ পরিচালনা করা। আইন বিভাগের কর্তব্য নতুন আইন প্রণয়ন ও পুরনো আইন সংশোধন। আর আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে সুবিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিচার বিভাগের। রাষ্ট্রের সব অঙ্গের চেয়ে নির্বাহী বিভাগের কর্মপরিধি ও ক্ষমতা বিস্তৃত। তাই অপরাপর সব বিভাগের ওপরই নির্বাহী বিভাগ কর্তৃত্বশীল। তবে তা সুনিয়ন্ত্রিত ও সংবিধিবদ্ধ। আর রাষ্ট্রের সব অঙ্গের সুসমন্বিত কার্যক্রমই সুশাসনের চালিকাশক্তি।
সার্বিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে গ্রামপুলিশ পর্যন্ত সবাই নির্বাহী বিভাগের আওতাভুক্ত। সাধারণভাবে রাষ্ট্র প্রধান ও সরকারপ্রধানকে কেন্দ্র করে যে বিভাগ গড়ে ওঠে তাকেই এক কথায় নির্বাহী বিভাগ বলা হয়। নির্বাহী বিভাগের মধ্যমণি হচ্ছে ব্যুরোক্রেসি বা আমলাতন্ত্র। রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ স্বতন্ত্র সত্তা হলেও সেগুলো একে অন্যের পরিপূরক। তবে নির্বাহী বিভাগ রাষ্ট্রের অপরাপর বিভাগের ওপর সংবিধিবদ্ধ পরিসরে কর্তৃত্বশীল।
অধ্যাপক গার্নারের মতে, নির্বাহী বিভাগের কার্যাবলীকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। (এক) অভ্যন্তরীণ শান্তি ও শৃঙ্খলা বিষয়ক (Administrative), (দুই) পররাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও বৈদেশিক সম্পর্ক (Diplomatic), (তিন) সামরিক ব্যবস্থা (Military), (চার) বিচার বিষয়ক ক্ষমতা (Judicial) ও (পাঁচ) আইন বিষয়ক ক্ষমতা (Lagislative)। নির্বাহী তথা শাসন বিভাগকে সফল ও সার্থক করে তুলতে হলে উপরি উক্ত সব উপবিভাগের একটি কার্যকর সেতুবন্ধন জরুরি। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্রের যেমন সক্রিয়তা দরকার ও ঠিক তেমনিভাবে নাগরিকদেরও হতে হবে দায়িত্বশীল।
সংবিধানের ২১(১) অনুচ্ছেদে সুনাগরিকের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ÔIt is the duty of every citizen to observe the Constitution and the laws, to maintain discipline, to perform publice duties and to protect public property.’ অর্থাৎ ‘সংবিধান ও আইন মান্য করা, শৃঙ্খলা রক্ষা করা, নাগরিক দায়িত্ব পালন করা এবং জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য’। তাই দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে সরকার, রাষ্ট্রযন্ত্র, রাজনৈতিক শক্তি ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ববান হতে হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থাটা খুবই ভঙ্গুর।
সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন আরো জোরালো ভিত্তি পেয়েছে সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সব পক্ষেরই কমবেশি ব্যর্থতা রয়েছে। কারণ, সরকার, রাজনৈতিক শক্তি, রাষ্ট্রযন্ত্র, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও নাগরিক সমাজ যদি নিজ অবস্থান থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারত, তাহলে এবারের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দেশে-বিদেশে এমন অনাকাক্সিক্ষত প্রশ্নের সৃষ্টি হতো না। নির্বাচন নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেও এ ক্ষেত্রে যাদের জন্য নির্বাচন তথা নির্বাচকমণ্ডলী কিন্তু সন্তুষ্ট হতে পারেনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এটিই হচ্ছে প্রধান দুর্বলতা ও নেতিবাচক দিক। দেশী-বিদেশী নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা এবারের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিরোধী দলগুলোও এই নির্বাচনকে ‘জনগণের সাথে নির্মম প্রহসন’ হিসেবেই দেখছে। এমনকি খোদ একজন নির্বাচন কমিশনারও নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ জন্য বিরোধী দলসহ প্রায় সব মহল থেকেই নির্বাহী বিভাগ তথা প্রশাসনকে দায়ী করা হয়েছে। বিরোধী দলের পক্ষে বলা হয়েছে, ‘একটি স্বাধীন দেশের প্রশাসন এমন হতে পারে না’। এতে আমাদের দেশের আমলাতন্ত্র বা জনপ্রশাসনের সম্মান বৃদ্ধি করেনি বরং তাদের বিরুদ্ধে পেশাদারিত্বের অভাব ও দলবাজির অভিযোগ উঠেছে বেশ জোরালোভাবেই।
আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অতি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ জনপ্রশাসন বা আমলাতন্ত্র। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগগ্রতিতে আমলারাই আইন ও বিধি-বিধানের আওতায় থেকে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু সেই ঔপনিবেশিক শাসনামল থেকেই আমলাতন্ত্রে পেশদারিত্ব গড়ে ওঠেনি বা গড়ে উঠতে দেয়া হয়নি। মূলত আমলারা রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে আখ্যা পেলেও উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসন দীর্ঘায়িত করতেই যাত্রা শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রের। ফলে আমলারা রাষ্ট্রের কর্মচারী হওয়ার পরও সেই ঔপনিবেশবাদীদের অশুভ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তাই গণপ্রশাসনের কাছ থেকে কাক্সিক্ষত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না বরাবরই অভিযোগ করা হচ্ছে।
মূলত আমাদের দেশের চলমান নেতিবাচক রাজনীতিই গণপ্রশাসনকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে একশ্রেণীর আমলার উচ্চাভিলাষ ও দলবাজি। প্রশাসনে যারা এখনো দুর্নীতি ও অবক্ষয়ের গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেননি তারাও অনেক ক্ষেত্রেই সুযোগ সন্ধানী হয়ে গেছেন বলে জনশ্রুতি আছে। বস্তুত দলবাজি সরকারের পাওয়ার স্ট্রাকচারের ভেতর ঢুকে গেছে। ক্ষমতার প্রভাব বলয় থেকেই আমলাতন্ত্রের সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কোনো সরকারই ব্যুরোক্রেসিকে একটি পেশাদারি সত্তা হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেনি বরং তাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর পরিবর্তে দলীয় দাসানুদাস বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই নেতিবাচক প্রবণতা আরো বেড়েছে। ফলে জনপ্রশাসন হারাতে বসেছে নিজস্ব স্বকীয়তা ও গণমুখী চরিত্র।
এ কথাও ঠিক যে, নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের কিছুটা হলেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সংবিধানেও ব্যুরোক্রেসিকে কোনো প্রোটেকশন বা গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে দাবি করেন আমলারা। সঙ্গত কারণেই নিরপেক্ষভাবে কাজ করা বা স্বাধীনভাবে মতামত দেয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না বলেও দাবি করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমলাদের অপেশাদারী মনেবৃত্তিকেই দায়ী করা যেতে পারে। তারা পেশাদারিত্ব দিয়েই এসব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে পারতেন। কারণ, রাজনৈতিক টোপ, চাপ ও দলবাজি মুক্ত থাকতে না পারলে আমলাদের পুরোপুরি পেশাদারী হয়ে ওঠার সুযোগ নেই। বাস্তবেও তাই হয়েছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসনকাজে মূল ভূমিকায় থাকেন রাজনীতিকেরা। তবে এর বিভিন্ন স্তরে বিচিত্র ধরনের কাজের জন্য দরকার হয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর। সাধারণ্যে তারা সরকারি কর্মচারীরূপে পরিচিত হলেও আমাদের সংবিধান প্রণেতারা আখ্যায়িত করেছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী বলে। সরকারকে নীতিনির্ধারণে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা এবং সেই নীতি ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন তাদের দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমলাদের অপেশাদারী ও দলবাজ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা সম্পর্কে রাষ্ট্র বিজ্ঞানী AM (Ogg বলেন, (ÔThe body of the civil servants is an expert, professional, non-political, permanent and subordinate staff .Õ) অর্থাৎ ‘রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা হবে সুদক্ষ, পেশাদারী, অধীনস্থ কর্মকর্তা যারা স্থায়ীভাবে চাকরি করেন এবং রাজনীতির সাথে যাদের কোনো সংশ্রব নেই’।
বস্তুত, নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই আমাদের দেশের আমলাতন্ত্র কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারেনি। দীর্ঘ দিন ধরে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের রাজনৈতিক বিবেচনায় পদায়ন, পদোন্নতি এবং ক্ষেত্রবিশেষে নিয়োগ গণপ্রশাসনের কার্যকারিতা হ্রাস করে ফেলেছে। একশ্রেণীর দলবাজ কর্মকর্তাও এ জন্য কম দায়ী নন। আসলে জনপ্রশাসন চাপমুক্ত থেকে পেশাদারিত্ব বাজায় রাখতে পারলে নির্বাচনকালে ‘নির্দলীয়’ সরকারের দাবি নিয়ে কারো আসার প্রয়োজন হতো না। দুঃখজনক হলেও এটি সত্য, এসব কর্মচারীর একটি অংশ ইদানীং দলীয় বিবেচনাতেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এমনকি পরোক্ষভাবে দলীয় কার্যক্রমে যোগ দিচ্ছেন। ১৯৯৬ সালের আমলা বিদ্রোহের ঘটনাও এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা যুক্তিযুক্ত হতে পারে। এতে ব্যক্তিগতভাবে তারা হয়তো অনেকেই লাভবান হয়েছেন। কিন্তু পরিণতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমলাতন্ত্রের পেশাদারিত্ব। দেশ ও জাতি বঞ্চিত হয়েছে সুশাসন থেকে।
আমলাতন্ত্র পেশাদারী হয়ে ওঠেনি বা প্রাতিষ্ঠানিক রূপও পায়নি তা সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘটনা প্রবাহ থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, এবারের নির্বাচন কোনো নির্বাচন হয়নি বরং নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। আর এর নেপথ্যে কাজ করেছে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন।
এবারের নির্বাচনে প্রশাসন শুরু থেকেই বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে বলে জনসাধারণের মধ্যে অভিযোগ বেশ জোরালো। নির্বাচনে যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার ক্ষেত্রে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দায়িত্ব হবে দৃঢ়তার সাথে আইন ও ন্যায়ের প্রতি নিষ্ঠাবান থেকে এবং কোনো ধরনের অনুরাগ ও বিরাগের বশবর্তী না হয়ে দায়িত্ব পালন করা। তারা আইনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন, কোনো ব্যক্তি বা দলকে নয়। শক্তি প্রয়োগে তারা নিষ্ক্রিয়তা কিংবা অতি সক্রিয়তা কোনোটাই দেখানো ঠিক নয়। শান্তিপূর্ণ ও আইনসম্মত প্রতিবাদে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টিও অযৌক্তিক হবে। গ্রেফতার কিংবা শক্তি প্রয়োগের প্রশ্নে কারো ইন্ধনে তাদের প্ররোচিত হওয়াও যথোচিত হবে না। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তার পুরোপুরি ব্যত্যয় ঘটেছে বলে সর্বমহল থেকেই অভিযোগ করা হচ্ছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গণহারে গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তো দূরের কথা বিরোধীদলীয় প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার ন্যূনতম সুযোগও পাননি। পক্ষান্তরে সরকার দলীয় প্রার্থীরা ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার অভিযানকে আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দায়িত্ব বলে দাবি করা হলেও নির্বাচনে ভোট চুরি রোধে প্রশাসনের ভূমিকা রীতিমতো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এমন গর্হিত ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজকে প্রশাসনিক পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার অভিযোগও জোরালো ভিত্তি পেয়েছে। যা সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ও সংবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন বলেই বিবেচিত। সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদে সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ÔEvery person in the service of the republic has a duty to strive at all time to serve the people.’ অর্থাৎ ‘সব সময় জনগণের সেবা করার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য’। কিন্তু আমাদের দেশের সিভিল প্রশাসন কি সেই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ? উত্তরটা তো নেতিবাচকই হওয়ার কথা ! হ
smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা? কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ২৫ দিন পর উদ্ধার যুবকের লাশ উদ্ধার ভুয়া সনদ সিন্ডিকেট : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ

সকল